পাহাড়ে রোহিঙ্গা অপরাধীদের ‘আস্তানা’ শনাক্তে র্যাবের ড্রোন অভিযান
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ে রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমসহ অন্য অপরাধীদের গড়ে তোলা ‘আস্তানা’ শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী এই বাহিনীটি বলছে, যেকোন ধরনের অপরাধীদের দমনে প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ব্যবহার করবে তারা।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া টইংগ্যা পাহাড়সহ বেশ কয়েকটি দুর্গম পাহাড়ে ড্রোন নিয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষণ অভিযান চালায় র্যাব-১৫।
এ বিষয়ে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, “রোহিঙ্গা শিবির ও পার্শ্ববর্তী পাহাড়ী এলাকাকে ঘিরে সক্রিয় থাকা সশস্ত্র রোহিঙ্গা উগ্রপস্থী সংগঠন, ডাকাত দল, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার, অপহরণ ও মুক্তিপণ বাণিজ্য চালিয়ে শরণার্থী ক্যাম্পসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার জন-জীবনে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করেছে। আর এসব অপকর্মের নেপথ্য নায়ক হিসেবে রয়েছে রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার আবদুল হাকিম।”
উইং কমান্ডার আজিম বলছেন, হাকিমসহ এই অপরাধীদের ধরতেই তাদের এই অভিযান।
“উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গা ডাকাত হাকিম বাহিনীসহ বিভিন্ন গ্রুপ সক্রিয় থাকার সংবাদ রয়েছে। তাই এসব অপরাধীদের আস্তানা সনাক্ত করতে প্রাথমিকভাবে এই ড্রোন অভিযান। এই জনপদে শান্তি ফেরাতে প্রয়োজনে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় র্যাব হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করবে।”
র্যাবের এই অভিযানে র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল হাসান, সিপিএসসি কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান, সিপিএসসি স্কোয়াড কমান্ডার এডিশনাল এসপি বিমান চন্দ্র কর্মকার, সিপিসি-১ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব (এক্স), বিএন, সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার এএসপি শাহ আলম প্রমুখ অংশ নেন।