উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: নিহত ২, পুড়েছে ৫০০ আশ্রয়কেন্দ্র
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুইজন নিহত এবং পাঁচ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রসহ নানা স্থাপনা পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা টানা দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম জানান, 'মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল পৌনে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।'
তবে নিহত দুইজনের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং এলাকার লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-পরিচালক তানহারুল ইসলাম জানান, 'অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি এবং এ ব্যাপারে জানতে ফায়ার সার্ভিস তদন্ত চালাচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'দুপুরে উখিয়ার লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের একটি বসত ঘরে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। মুহূর্তেই ক্যাম্পটির আশপাশের বসত ঘরসহ অন্যান্য স্থাপনায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্রশাসনসহ স্থানীয়দের খবর পেয়ে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। পরে সেখানে কক্সবাজার ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আরও ৫টি ইউনিট যোগ দেয়।'
তিনি বলেন, 'ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায় সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর বিকাল পৌনে ৩টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'অগ্নিকাণ্ডে নিহত দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আগুনে পাঁচ শতাধিক বসত ঘর ও নানা স্থাপনা পুড়ে গেছে। তদন্ত শেষে চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।'
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, এই তথ্য দিয়ে তানহারুল ইসলাম বলেন, 'স্থানীয়দের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আগুনের সূত্রপাত জানতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশও কাজ করছে।'
পুনরায় যাতে অগ্নিকাণ্ড না ঘটে তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান তিনি।