ফরিদপুরে ৩৪৮ হেক্টর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত, বেড়েছে ভাঙন
ফরিদপুরের পদ্মা, কুমার, আড়িয়াল খাঁ ও মধুমতির নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফলে সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ১৫টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে যেমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে সেই সাথে নদী ভাঙন বেড়েছে।
যদিও ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্র বলছে, গত কয়েক দিনে ফরিদপুরের নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলার এই তিন উপজেলাসহ পাঁচটি উপজেলার ৩৪৮ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মাসকলাই ১৮১ হেক্টর, বোনা আমন ৭৫ হেক্টর, রোপা আমন ৪৫ হেক্টর এবং ৪৭ হেক্টর জমির সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় রয়েছে।
ফরিদপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, পদ্মা নদীর পানি হঠাৎ করে বাড়ায় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও মধুমতি নদীর আলফাডাঙ্গা, বোয়ালামারী, পদ্মা নদীর চরভদ্রাসনের এমপি ডাঙ্গী এবং আড়িয়াখা নদের চরমানাই এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
তিনি জানান, নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় ভাঙন রোধ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, পদ্মা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুরের নিম্নাঞ্চলের সবজি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে শীতকালিন গুটি পেঁয়াজক্ষেত।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, “ইতোমধ্যে জেলার ছয়টি উপজেলায় ১৫৫ টন চাল, শুকনা খাবার ও ১ লাখ ২০ হাজার নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভাঙন এলাকায় জরুরি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক দুর্গত অঞ্চলের মানুষের খোঁজ নিচ্ছি।’