ফরিদপুরে ১৩ বছরের কিশোর চালককে হত্যা করে আত্মীয়দের কিনে দেওয়া অটোরিকশা ছিনতাই
বাবাকে হারানোর পর সংসার চালাতে কিশোর হুসাইনকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনে দিয়েছিলেন স্বজনরা। কিন্তু সেই রিকশার জন্যই প্রাণ গেল ফরিদপুরের ১৩ বছরের এ কিশোরের। তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত হত্যাকারীরা। মর্মান্তিক এ ঘটনায় শোকে বাকরুদ্ধে হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ) সনাতন কুমার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ (৩ জানুয়ারি) সকালে শহরের ভাটি লক্ষ্মীপুর এলাকায় একটি মহিলা মাদ্রাসার সীমানাদেয়ালের পাশে একটি লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার একটি পুলিশের দলসহ অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত হুসাইনের বাড়ি শহরের চর টেপাখোলা ব্যাপারীপাড়ায়। তার বাবার নাম মৃত খোকা ব্যাপারী। মাত্র এক সপ্তাহ আগে মারা গেছেন তার বাবা। মায়ের নাম শেফালী বেগম (৪৮)।
হুসাইনের চাচাতো ভাই ওবায়দুর রহমান (৩৫) বলেন, তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিল হোসাইন। বড় বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে। এক সপ্তাহ আগে তার বাবা মারা যাওয়ার পর উপার্জনের অবলম্বন হিসেবে হুসাইনকে একটি নতুন রিকশা কিনে দেন আত্মীয়-স্বজনেরা।
সেই রিকশা নিয়ে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিল হুসাইন। রাতে সে বাড়িতে না ফেরায় এলাকায় মাইকিংও করা হয়। এরপর শুক্রবার সকালে লোক মারফত তার লাশ পাওয়া গেছে বলে তারা জানতে পারেন।
প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, হোসেনকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করার পর তার মরদেহ ফেলে রেখে যায় আততায়ীরা।
এসআই সনাতন জানান, হুসাইনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 'পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির ক্রাইম সিনের টিম ঘটনা তদন্ত করছে। আশা করছি দ্রুতই জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।'