বগুড়া কুটির শিল্প মেলা: ক্রেতাদের নজর দেশি পণ্যে
বগুড়ায় শুরু হয়েছে তাঁত বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলা। আয়োজকরা বলছেন, মেলার স্টলগুলোতে দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি বিদেশি পণ্য ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী থাকলেও ক্রেতাদের নজর দেশি পণ্যের দিকে। আর নারী ক্রেতাদের বেশিরভাগই ভিড় করছেন চুড়ি, ফিতা, নাক ও কানের গহনা আর প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানে।
তবে নারীদের প্রসাধনী আর মুখরোচক খাবারের স্টলে ভিড় থাকলেও এখনও পুরোপুরি জমে উঠেনি মেলা।
তাঁত ও কুটির শিল্পের বিকাশে গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতাল মাঠে মাসব্যাপী এ মেলা শুরু হয়। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করে বগুড়া ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও মনিপুরি তাঁত শিল্প ও জামদানী বেনারসী কল্যাণ ফাউন্ডেশন।
মেলার উদ্যোক্তা মনিপুরী তাঁত শিল্প ও জামদানী বেনারসী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি তাজুল ইসলাম জানান, দর্শক আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা থাকলে মেলার সময় আরও বাড়ানো হতে পারে।
“আমার আশা করছি মেলার শেষ দিকে ক্রেতাদের চাপ বাড়বে। তখন মেলার সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে দোকানীদের স্বার্থে”, বললেন তাজুল ইসলাম।
মেলা কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার দর্শক আসলেও ছুটির দিন, শুক্র ও শনিবারে প্রায় ছয় হাজার দর্শকের সমাগম ঘটছে।
মেলায় আছে পুলিশ নারী কল্যাণ (পুনাক) স্টলে রয়েছে ১৫৬ রকম পণ্য। অসাধারণ নকশা করা পণ্যের মধ্যে আছে, ওভেন কাভার, নকশী কাঁথা, রাজশাহী সিল্ক ও হাতের কাজ করা নানা ধরনের পোশাক। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা আফসান পারুল বলেন, ‘‘অধিকাংশ ক্রেতাই তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে হাতে তৈরি নানা ধরনের কাপড় কিনছেন।’’
ঢাকা বাণিজ্য মেলার আদলে তৈরি এ মেলার ৭৮টি স্টলে রয়েছে। স্টলগুলোতে তাঁতের কাপড় থেকে শুরু করে খেলনা, জামা-জুতা, খাবারসহ নানা ধরণের সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে। পছন্দের অনেক পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে ১৩০ টাকায়, বললেন গৃহবধু ফারহানা ইসলাম। তবে তার মতো অনেকেই অভিযোগ করেছেন, মানের তুলনায় কোনো কোনো পণ্যের দাম বেশি।
বগুড়া ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মমিনুর রশীদ শাইন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে দেশি পণ্যের প্রসারে এ ধরনের আয়োজন আগামীতেও করা হবে।