বরিশাল-নেত্রকোনায় আটজন কোয়ারেন্টাইনে
বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় ইতালি ফেরত চারজনকে নিজেদের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক শিশু ও এক নারী রয়েছেন। ওই চারজন গত ২ মার্চ ঢাকায় আসার পর ৯ মার্চ গৌরনদীর গ্রামের বাড়িতে ওঠেন বলে জানা গেছে।
এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে নেত্রকোনায় বিদেশ ফেরত চার প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে তাদেরকে ১৪ দিনের জন্য নিজ নিজ বাড়িতে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
বরিশাল সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন জানান, ইতালি ফেরত চারজনের বাড়ি গৌরনদী উপজেলায়। এরমধ্যে তিনজন একই পরিবারের। ওই ইতালি প্রবাসী স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে উঠেছেন। ইতালি ফেরত অন্য একজনের বাড়িও একই উপজেলায়। একই দিন তারা গৌরনদীতে এসেছেন।
তিনি আরও জানান, ১০ মার্চ তাদের ইতালি থেকে ফেরার বিষয়টি জানতে পারি। ১১ মার্চ তাদের বাড়িতে চিকিৎসকের একটি দল পাঠানো হয়। চিকিৎসক দলটি তাদের নানা পরীক্ষা করে দেখেন। তবে তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া যায়নি। ওই দিন থেকেই তাদেরকে নিজ বাড়িতে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ডা. মনোয়ার জানান, তারা সবাই সতর্ক ও সচেতন। নিজেরাই বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। এরপরও বাড়ির পৃথক কক্ষে তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবেন। এই সময় বাইরে চলাফেরা ও সেখানে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদেরও চলাফেরা সীমিত করা হয়েছে। বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের নিজ ঘর ও আঙিনা পর্যন্ত এলাকায় চলাফেরা সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছেন।
নেত্রকোনায় চার প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে নেত্রকোনায় বিদেশ ফেরত চার প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এদের দুজনের বাড়ি সদর উপজেলায়। অপর দুজনের বাড়ি কলমাকান্দা ও খালিয়াজুরীতে। এদের একজন চীনে এবং তিনজন ইতালি প্রবাসী।
জানা গেছে, ওই চারজন গত মঙ্গলবার ও বুধবার দেশে ফেরেন। প্রতিবেশীরা তাদের ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করে। পরে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা হাজির হয়ে তাদের বৃহস্পতিবার থেকে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেন।
সিভিল সার্জন ডা. তাজুল ইসলাম খান জানান, চারজনই বর্তমানে সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত কেউ অসুস্থতা বোধ করেননি। আক্রান্ত হওয়ার কোনো প্রাথমিক লক্ষণও দেখা যায়নি। তবু ১৪ দিন তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।