বাস ভাড়া বাড়ল ২৭%, তিনদিন পর ধর্মঘট প্রত্যাহার
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পর মহানগরের অভ্যন্তরে ও দূরপাল্লার বাসভাড়া যথাক্রমে ২৬.৫ ও ২৭ শতাংশ বাড়াল সরকার। আজ রোববার (৭ নভেম্বর) বাস মালিকদের সাথে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার পরিবহন মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকের পর জানান, আগামীকাল থেকেই বর্ধিত ভাড়া 'কার্যকর' হবে।
ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন।
বর্ধিত ভাড়া অনুসারে, মহানগরে চলাচলকারী বাসে প্রতিকিলোমিটারে আগের ১.৪২ টাকার পরিবর্তে ২.১৫ টাকা দিতে হবে যাত্রীদের। মিনিবাসে দিতে হবে ২.০৫ টাকা।
আন্তঃজেলা বাসে দিতে হবে আগের কি. মি. প্রতি ১.৪২ টাকার পরিবর্তে ১.৮০ টাকা।
এছাড়া, মহানগর এলাকায় ন্যূনতম বাসভাড়া ১০ টাকা ও মিনিবাসে ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা এর আগে যথাক্রমে ৭ ও ৫ টাকা ছিল।
বাংলাদেশ গণপরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ; বাংলাদেশ বাস-ট্রাক মালিক সমিতির চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ; গোলাম রহমান, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান; বিটিআরসির পরিচালক (অপারেশনস) শুকদেব ঢালী প্রমুখ বৈঠকে অংশ নেন। এ বৈঠকেই ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকায় গত বুধবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ১৫ টাকা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এর প্রতিবাদে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল বা ভাড়া পুনঃনির্ধারণের দাবিতে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন মালিকরা।
এই ধর্মঘটের কারণে গত দুইদিনে চরম ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। রাজধানী ঢাকায় অভ্যন্তরীণ রুট ও আন্তঃনগর সব ধরনের বাস চলাচল না করার অফিসগামী লোকজনকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিকশা, সিএনজি কিংবা প্রাইভেট কারে চলাচল করতে হয়েছে।