বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের দিন পাঁচটি আলাদা জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
প্রথম জামাতটি সকাল সাতটায় অনুষ্ঠিত হবে, জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান এটি পরিচালনা করবেন বলে আজ মঙ্গলবার (১১ মে) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায়, এবং তারপরের তিনটি জামাত যথাক্রমে; ৯টা, ১০টা এবং ১০.৪৫- এ অনুষ্ঠিত হবে বলেও সেখানে জানানো হয়।
চাঁদ দেখা গেলে আগামী বৃহস্পতিবারই ঈদুল ফিতর পালনের অপেক্ষা করছেন দেশের ইসলাম ধর্মালম্বীরা।
তবে করোনাভাইরাস সৃষ্ট বিরূপ পরিস্থিতির কারণে কর্তৃপক্ষ ঈদগাহ ও অন্যান্য খোলা জায়গায় বড় আকারের জামাত আয়োজন এড়িয়ে স্থানীয় মসজিদে স্বাস্থ্য বিধি মেনে জামাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইতঃপূর্বে গত ২৬ এপ্রিল দেওয়া এক জরুরি নোটিশে ঈদের নামাজের আগে মসজিদ জীবাণুমুক্ত করার সুপারিশ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। মসজিদে কার্পেট না বিছানোর কথাও সেখানে উল্লেখ করা হয়। তার পরিবর্তে মুসল্লিদের বাড়ি থেকে জায়নামাজ নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, মসজিদের প্রবেশের আগে অযুর জায়গায় মুসল্লিদের জন্য সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
জামাত শেষ হওয়ার পর সকলকে আবার অজু করে যার যার বাড়ি ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মসজিদে সব মুসল্লিকে মাস্ক পরে থাকতে হবে, এবং মসজিদের জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার না করার তাগিদ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ আগে থেকেই নানা প্রকার রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্তদের জামাতে না আসার অনুরোধ করা হয়, এবং এলেও তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য স্থানীয় মসজিদ কর্তৃপক্ষকে নিদেশ দেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা রোগীর পরিচর্যায় জড়িতদের ব্যাপারেও প্রযোজ্য।
ভাইরাস যেন বিস্তার লাভ না করে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে নামাজের পর মুসল্লিদের মুসাফাহ ও কোলাকুলি না করার অনুরোধও করা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নোটিশ অনুসারে, স্থানীয় ইমাম এবং মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের এসব বিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
নির্দেশনাগুলো কোথাও অমান্য করা হলে, তখন স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো দায়ী ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেবে।
এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মহামারি জনিত বিধি-নিষেধের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর পালিত হবে।