বেনাপোল থেকেও ছাড়েনি কোনো বাস, বিপাকে ভারতফেরত পাঁচ শতাধিক যাত্রী
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাস ও ট্রাক মালিক সমিতির ডাকা ধর্মঘটের কারণে আজ শুক্রবার বেনাপোল থেকে পণ্য পরিবহনসহ সব ধরণের দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এতে বিপাকে পড়েছেন ভারতফেরত পাঁচ শতাধিক যাত্রী। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও অনেক যাত্রী বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছার ব্যবস্থা করেছেন।
যশোর জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান বাবলু বলেন, "হঠাৎ করে ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় বাস ও ট্রাক মালিক সমিতির সদস্যরা আলোচনা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরাও তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ধর্মঘট পালন করছি।"
শুক্রবার সকাল হতে দক্ষিণবঙ্গ থেকে কোনো গণপরিবহন বা পণ্যবাহী ট্রাক ছেড়ে যায়নি বলে জানান বাবলু। তিনি বলেন, ডিজেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা ও বাস ভাড়া না বাড়ানো পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে।
এদিকে, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর গণপরিবহন না চলতে দেখে অনেক যাত্রীই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্যাক্সি বা অন্যান্য পরিবহনের মাধ্যমে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। যানবাহনের ব্যবস্থা করতে না পারা অনেক যাত্রীকে পরিবহন কাউন্টারগুলোয় অবস্থান করতে দেখা গেছে।
ভারত থেকে ফেরা গোপালগঞ্জবাসী জয়ন্তী তালুকদার ও সুরেশ তালুকদার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমরা ভারতে গিয়েছিলাম চিকিৎসা করাতে। শুক্রবার বাংলাদেশে ফিরে আসার পর বুঝতে পারি ধর্মঘট চলছে। এখন কীভাবে বাড়ি যাব বুঝতে পারছি না। টাকাও বেশি নেই যে ট্যাক্সি রিজার্ভ করে যাব। এজন্য কাউন্টারে বসে আছি।"
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রাজু বলেন, "বাংলাদেশে ধর্মঘট হলেও সকাল থেকেই ভারত থেকে ফিরছেন যাত্রীরা। প্রায় ৫০০ যাত্রী এদিন ফিরেছেন।"
যশোর জেলা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক পবিত্র কাপুড়িয়া জানান, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে যশোর থেকে ঢাকাগামী কোনো পরিবহনকে এখন থেকে অতিরিক্ত তিন হাজার টাকা খরচ করতে হবে।
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠার আগেই এরকম মূল্যবৃদ্ধিকে অমানবিক বলে দাবি করেন কাপুড়িয়া। তিনি বলেন, "সব পরিবহনে এমনিতেও যাত্রী কম। এভাবে ব্যয় বাড়লে গাড়ি চালানোই যাবে না। যে কারণে ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।"