বৈরী আবহাওয়া: সেন্টমার্টিনে দুদিন ধরে আটকা শতাধিক পর্যটক
লঘুচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল হয়ে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেড়ে কক্সবাজারের উপকূলে আছড়ে পড়ছে।
কক্সবাজারে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বলবত থাকায় মাছ ধরার ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। এতে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন শতাধিক পর্যটক।
রোববার বেড়াতে গিয়ে রাত্রিযাপনের উদ্দেশ্যে থেকে যাওয়ার পর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় সোমবার থেকে জাহাজ না যাওয়ায় এসব পর্যটক আটকা পড়েন।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, আটকা পড়া পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা দেওয়া ও দেখ-ভাল করা হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, 'লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হওয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সোমবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে দ্বীপে আটকা পড়েছেন শতাধিক পর্যটক। আটকা পড়া পর্যটকদের খোঁজ-খবর রাখতে স্থানীয় পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের বলা হয়েছে।'
ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, 'রোববার কক্সবাজার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেস এবং টেকনাফ থেকে কয়েকটি ট্রলারে করে দুই শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আসেন। বিকেলে ফিরতি জাহাজ ও ট্রলারে করে অর্ধেক পর্যটক টেকনাফ ও কক্সবাজারে ফিরে যান। দ্বীপের রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সেন্টমার্টিনে থেকে যান শতাধিক পর্যটক। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সোমবার সকাল থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা দ্বীপে আটকা পড়েছেন। তবে সবাই নিরাপদে রয়েছেন।'
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, 'বঙ্গোপসাগর প্রচণ্ড উত্তাল। সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। জোয়ারের ধাক্কায় দ্বীপের উত্তর ও পশ্চিম পাশের সৈকতের বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে যাচ্ছে। জোয়ারের তোড়ের সঙ্গে বাতাসের তীব্রতায় সোমবার রাতে সেন্টমার্টিনের পূর্ব দিকের জেটিঘাটে নোঙর করে রাখা চারটি মাছ ধরার ট্রলার ও যাত্রীবহনকারি একটি কাঠের বোট ডুবে গেছে বলে জেনেছি।'
নুর আহমদ বলেন, 'সাগরে পানির উচ্চতা দিন দিন বাড়ছে। ফলে জোয়ারের ধাক্কায় দ্বীপের বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি উপজেলা ও জেলা সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগকে লিখিত জানানো হয়েছে।'
দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভাঙ্গন তীব্র হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে জানান তিনি।