ব্রিজের রেলিং ভেঙ্গে পর্যটকবাহী বাস খাদে, আহত ৩৫
কক্সবাজারের রামু-মরিচ্যা সড়কের মেরংলোয়ায় ব্রিজের রেলিং ভেঙ্গে পর্যটকবাহী বাস খাদে পড়ে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে। শনিবার ভোর ৬টার দিকে সাব্বির এন্টারপ্রাইজ নামের এ বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের নিচে পড়ে যায়। বাসের যাত্রীদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী রয়েছেন। আহতদের মাঝে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্খাজনক।
রামু হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ এলাকার শাহাজাহানের ছেলে আবির, নাছির উদ্দীনের ছেলে আতিক, আবু বশরের ছেলে মোছাদ্দেক, নুরুল আমিনের ছেলে সোহান, রফি উদ্দীনের ছেলে ইউনুচ, মোস্তফা গাজীর ছেলে তরিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমানের ছেলে আব্দুর রউফ, মশরফ হুসাইনের ছেলে আবু মুছা, জাকির হুসাইনের ছেলে মন্জুরুল হুসাইন সাকিব, আব্দুল জাব্বার মৃধার ছেলে মেহেদী হুসাইন, কবিরের ছেলে নয়ন, মোতাহের সিকদারের ছেলে নাঈম হুসাইন, আলতাফ হুসাইনের ছেলে ফয়সাল, জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোশরফ হুসাইন, বাচ্ছুর ছেলে সাইফুল ইসলাম বাপ্পি, শাহা জমালের ছেলে নিজাম, আশরাফ আলীর ছেলে হাসিব, আব্দুল মান্নানের ছেলে সজল, জাকির হুসাইন খানের ছেলে নজরুল হক সাকিব, নাহিদের মেয়ে রহিমা, শহিদুল ইসলামের ছেলে শফিক, বেলাল হোছাইনের ছেলে মোহাম্মদ, আব্দুর শুকুরের ছেলে গফুর; পটুয়াখালী শ্রীনগর এলাকার মোছাদ্দেকের ছেলে সাইফুল ইসলাম, শরীয়তপুরের আসাদ আলীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দীক, বরিশালের শহিদুল ইসলামের ছেলে মোনাফ হুসেন সাঈদ, আমতলী, বরগুনা এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে জাহিদ ইসলাম, মোতাহের হোসাইনের ছেলে জিয়াউল করিম, ঢাকার আলতাফ হোসাইনের ছেলে নাজমুল হুসাইন, নজরুল ইসলামের ছেলে জুয়েল, বরগুনা, সদরের খলিলুল্লাহর ছেলে আল আমিন, কুমিল্লার সুলতানপুর এলাকার সুলতান আহমেদের ছেলে মাহিম, পটুয়াখালীর আবু তৈয়ব সিকদারের ছেলে রাজিব, যশোরের মশরফ হোসেনের ছেলে বকতিয়ার এবং মির্জাপুর ঢাকা এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে নোমান।
ওই বাসের যাত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহত নাজমুল হাসান জানান, বরিশাল, পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্টুডেন্ট ওয়েব, ঢাকার ব্যানারে তারা দুইটি বাস নিয়ে ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাচ্ছিলেন। তারা সবাই বরিশাল, পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা এবং ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী।
তিনি আরও জানান, বাসের যাত্রীরা ভোরে ঘুমে ছিলেন। হঠাৎ বাসটি খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের যাত্রীরা সবাই আহত হয়।
খবর পেয়ে বিজিবি, পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে দূর্ঘটনা কবলিত বাসটি থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। রামু হাইওয়ে পুলিশের একটি দল এসে দুমড়ে যাওয়া বাসটি নিজেদের কব্জায় নেন ও উদ্ধারকারীরা বাসটি তুলতে সহযোগিতা দেন। তাদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনও যোগ দেয়।
স্থানীয় আল মাহমুদ ভুট্টো জানান, রামু-মরিচ্যা সড়কটি টেকনাফের সঙ্গে সংযোগের পুরনো সড়ক। বাসের চালক অনেক বছর আগে টেকনাফ যেতে এ সড়কটি ব্যবহার করেছিলেন এবং আজও লিংকরোড় নতুন মহাসড়ক দিয়ে না গিয়ে ভুল করে পুরাতন রামু আরকান সড়কের ভিতরে চলে আসে। নড়বড়ে ভাঙ্গা ব্রিজ এর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়ালিউর রহমান ও ডা. অনিক বড়ুয়া জানান, ভোর ৬ টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৩৫ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বর আহত ১৮ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।