ভাসানচর থেকে পালানোর সময় বঙ্গোপসাগরে নৌকাডুবি, ১৫ রোহিঙ্গা উদ্ধার
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালানোর সময় প্রায় ৪০জন রোহিঙ্গা নিয়ে একটি কাঠের নৌকা ডুবে গেছে। এ পর্যন্ত ১৫ রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাকি রোহিঙ্গারা নিখোঁজ রয়েছে।
শনিবার রাতে তথ্যগুলো নিশ্চিত করেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
তিনি জানান, শুক্রবার রাতে ভাসানচর ক্যাম্প থেকে নৌকাযোগে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ৩০-৪০ জন রোহিঙ্গা। তাদের নৌকাটি ভাসানচর থেকে ১৫-২০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে চট্টগ্রামের বঙ্গোপসাগরে পৌঁছলে ডুবে যায়। খবর পেয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের উদ্ধারে নামে। এ পর্যন্ত ১৫ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম চ্যানেলের মধ্যবর্তীস্থানে একটি কাঠের নৌকা দেখতে পাওয়া যায়। ডুবে যাওয়া নৌকা হিসেবে এটা শনাক্ত করেছে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ওই নৌকার পাশে নৌ-বাহিনীর একটি জাহাজ নোঙর করা হয়েছে। রোববার ভোর থেকে ডুবন্ত বোটটি উদ্ধারে অভিযান চালানোর কথা রয়েছে নৌবাহিনীর সদস্যদের।
পুলিশ সুপার আরও জানান, উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের মধ্যে আব্দুর রহমান নামের একজন ফিশিং ট্রলারে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকায় চলে গেছে। বর্তমানে সে সাতকানিয়ার কেচিয়া গ্রামের নূর সালামের বাড়িতে রয়েছে। তবে নৌকাডুবির ঘটনায় আব্দুর রহমানের পাঁচ সন্তান এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তারা হচ্ছে, সুপাইরা (৮), কিসমত আরা (৬), ফেরদৌস (৫), সকিনা (৪), নুর আয়েশা (৩ মাস)। তারা সবাই ভাসানচরের ৫০ নং ক্লাস্টারের সি -৭/৮ রুম এফসিএন-১৯২৩৫ তে থাকতো।