মারধরের প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করল হনুমানের দল
একটি শিশু হনুমানকে আঘাত করার প্রতিবাদে যশোরে একটি থানা ঘেরাও করেছিল কালোমুখ হনুমানের দল। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলার কেশবপুর থানার প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিন ঘটনার বিস্তারিত জানালেন, “বাচ্চা কোলে নিয়ে একটি মা হনুমান প্রথমে থানায় ঢুকে। দেখেই বুঝতে পারি কেউ বাচ্চাটিকে মেরেছে। তারপর দেখি ২০-২৫টি হনুমানের একটি দল থানার গেটের সামনে অবস্থান নিয়েছে। ওরা ডিউটি অফিসারের রুমেও ঢুকে পড়ে।”
তখন হনুমান শিশুটির ওপর হামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে হনুমানদলকে আশ্বাস দেন ওসি। তারপর ওদের হাতে কিছু শুকনো খাবার তুলে দেন। এভাবে ঘণ্টাখানেক থানায় অবস্থানের পর হনুমানদল থানা ত্যাগ করে।
ওসি শাহিন তার এখানে অবস্থানকালে এমন ঘটনা দ্বিতীয়বারের মতো ঘটতে দেখেছেন। মাস তিনেক আগে আরেক বার এভাবে থানা চত্বরে দলবদ্ধভাবে হনুমানের দল এসেছিল। সেবার ওদের আসার কারণ জানতে চাইলে ওসি বলেন, “সেবার ওদের অবস্থা দেখে বুঝেছিলাম যে, ওদের খাবারে সমস্যা হয়েছে। পরে জানতে পারি, আগের দিন ওদের খাবার দেওয়া হয়নি। খাবারের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব, এমন আশ্বাস দিলে ওরা চলে যায়।”
কেশবপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা আবদুল মোনায়েম হোসেন জানান, উপজেলা শহর ও শহরতলীতে পাঁচশরও বেশি হনুমান থাকে। তাদের জন্য প্রতিদিন ৩৫ কেজি কলা, ২ কেজি বাদাম ও ২ কেজি পাউরুটি বরাদ্দ থাকে। ওদের প্রয়োজনের তুলনায় এটা অবশ্য খুবই অপ্রতুল।
খাবার না পেলেই হনুমানদল বসতবাড়ি ও অফিসগুলোতে ঢুকে পড়ে বলে জানান মোনায়েম। আবার কোনো হনুমানকে কেউ আঘাত বা হামলা করলেও ওরা দলবদ্ধভাবে থানায় যায়। আগে এমন ঘটনা একাধিকবার ঘটার বিষয়ে তিনিও নিশ্চিত করলেন।