মৌলভীবাজারে গত বছরের চেয়ে পাখি বেড়েছে হাকালুকিতে
হাকালুকি হাওরের মৌলভীবাজার অংশে ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২০ সালে পাখির সংখ্যা বেড়েছে।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন) বাংলাদেশের উদ্যোগে দুই দিনের পাখিশুমারি শেষে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২৮ ও ২৯ জানুয়ারির (মঙ্গলবার ও বুধবার) পাখি শুমারিতে মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে ৫৩ প্রজাতির ৪০ হাজার ১২৬টি জলচর পাখি পাওয়া গেছে।
এ দুই দিন হাওরের ৪০টি বিলে জলচর পাখিশুমারি করা হয়। বুধবার রাতে শুমারির ফল প্রকাশ করা হয়।
শুমারিতে অংশ নেন পাখি নিয়ে কাজ করা ড. পল থমসন, ইনাম আল হক, ওমর শাহাদাত, শাহেদ ফেরদৌস, শফিকুর রহমান ও তারেক অণু।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর পাখির সংখ্যা ২০১৯ সালের চেয়ে সামান্য বেশি। তবে ২০১৮ ও ২০১৭ সালের চেয়ে কম।
২০১৯ সালে হাকালুকিতে ৩৭ হাজার ৯৩১টি পাখির দেখা মেলে।
এর আগে ২০১৮ সালে ৪৫ হাজার ১০০টি এবং ২০১৭ সালে ৫৮ হাজার ২৮১টি পাখির দেখা মেলে পাখি শুমারিতে।
তবে আশার কথা হচ্ছে, হুমকির মুখে আছে এমন প্রজাতির পাখিও এ বছর পাওয়া গেছে। তার মধ্যে মহাবিপন্ন বেয়ারের ভুতিহাঁস, সংকটাপন্ন পাতি ভুতিহাঁস এবং প্রায়-সংকটাপন্ন মরচেরং ভুতিহাঁস, ফুলুরি হাঁস, কালামাথা কাস্তেচরা, উত্তুরে টিটি, উদয়ী গয়ার অন্যতম।
হাকালুকির ৪০টি বিলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাঁচ হাজার ৪৩০টি পাখি পাওয়া গেছে চোকিয়া বিলে। এরপর পাঁচ হাজার ১৪৭টি পাখি পাওয়া গেছে চ্যাতলা বিলে।
এ ছাড়া ফুটবিলে চার হাজার ৯৮৩টি পাখি ও বালিয়াজুরি বিলে তিন হাজার ৩০৫টি পাখি পাওয়া গেছে।
তবে এর পাশাপাশি হাওড়খালে বিষটোপ দিয়ে মারা পাখিও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সহ-সভাপতি তারেক অণু।
তিনি জানান, দুই দিনব্যাপী হাকালুকি হাওরের ৪০টি বিলে পাখিশুমারি চলে।
বিলগুলো হলো- হাওয়াবন্যা, কালাপানি, রঞ্চি, দুধাই, গড়কুড়ি, চোকিয়া, উজান-তরুল, ফুট, হিংগাউজুড়ি, নাগাঁও, লরিবাঈ, তল্লার বিল, কাংলি, কুড়ি, চেনাউড়া, পিংলা, পরোটি, আগদের বিল, চেতলা, নামা-তরুল, নাগাঁও-ধুলিয়া, মাইছলা-ডাক, চন্দর, মালাম, ফুয়ালা, পলোভাঙা, হাওড় খাল, কইরকণা, মোয়াইজুড়ি, জল্লা, কুকুরডুবি, বালিজুড়ি, বালিকুড়ি, মাইছলা, গড়শিকোণা, চোলা, পদ্মা, কাটুয়া, তেকোণা, মেদা, বায়া, গজুয়া, হারামডিঙা ও গোয়ালজুড় ।