যথাসময়ে পণ্য ডেলিভারি না করায় 'ইভ্যালির ম্যানেজার' আটক
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার পারিল গ্রাম থেকে ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩০০ টাকাসহ তিন যুবককে আটক করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তারা অনলাইন ব্যবসা ইভেলির সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে একজন ম্যানেজার ও বাকি দুজন কর্মকর্তা বলে জানা গেছে।
সোমবার বিকেলে পারিল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন পারিল গ্রামের জামাল হোসেন (৩৮), রকিবুল হোসেন (২৪) ও বিপ্লব হোসেন (২৪)।
সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লা বলেন, পারিল গ্রামে ছোট্ট একটি অফিস নিয়ে ওই যুবকেরা প্রতিদিন এক কোটি টাকা লেনদেন করতেন। অনলাইন ব্যবসা ইভেলির নামে তারা পারিলে একটি অফিস নিয়েছেন। অফিস পরিচালনার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের নিকট থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করেছেন। ওই অফিসের মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য বিকিকিনির ব্যবসা করা হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। তবে অনলাইন ব্যবসার নামে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিলেও কাঙ্ক্ষিত পণ্য গ্রাহকদেরকে বুঝিয়ে না দেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
ইউএনও আরও বলেন, আটক ব্যক্তিরা ইভেলির গেঞ্জি পরে এলাকায় ঘুরে বেড়ান। ইভেলির নামে অফিস নেওয়া হয়েছে। অফিসের সামনেও ইভেলির সাইনবোর্ড রয়েছে। তবে তারা তাদের ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
এজন্য সিংগাইর থানায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ইউএনও রুনা লায়লা।
'মানিকগঞ্জ শাখা বলতে ইভ্যালির কোনো শাখা নেই'
এদিকে এ ঘটনায় ইভ্যালি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছে, 'মানিকগঞ্জ শাখা' বলতে তাদের কোনো শাখা নেই।
ইভ্যালি ডট কম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'বাংলাদেশে ইভ্যালির একটি কার্যালয় আর সেটি হচ্ছে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কে অবস্থিত অফিস।'
"ইভ্যালির 'শাখা ম্যানেজার' পদবীয় ব্যক্তিসহ আরও যে দুইজন ব্যক্তিকে আটকের তথ্য সংবাদে দেওয়া হয়েছে তারা কেউই ইভ্যালির সাথে কোনোভাবে সম্পৃক্ত না। তারা ইভ্যালির কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তা নন," বলা হয় বিজ্ঞপ্তিটিতে।