যুদ্ধাপরাধী কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা জারি
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার সাঈদ আহমেদ বলেন, সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছেন। লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, বুধবার সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের রায় প্রকাশ করা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১৪ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
তবে আইন অনুযায়ী সৈয়দ কায়সার এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করার সুযোগ পাবেন। রিভিউ খারিজ হলে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে কোনো বাধা থাকবে না।
তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, শিগগিরই তারা রিভিউ আবেদন করবেন।
আদালতে সৈয়দ কায়সারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম (সদ্য প্রয়াত), অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান।
এর আগে, গত বছরের ২ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। গত ১০ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিলের শুনানি শুরু হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে সৈয়দ কায়সারকে ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় 'কায়সার বাহিনী' গঠন করে ওই দুই জেলায় যুদ্ধাপরাধে নেতৃত্ব দেন তখনকার এই মুসলিম লীগ নেতা। জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি হয়ে যান বিএনপির লোক। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময় জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন সৈয়দ কায়সার।