যেসব শর্তে চলবে গণপরিবহন
ঈদুল আযহা উপলক্ষে মহামারি করোনাভাইরাসের উর্ধ্বমূখী সংক্রমণের মধ্যে বিধি নিষেধ শিথিল করে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে জানানো হয়েছে, মোট ৫টি শর্তে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
বুধবার বিআরটিএর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ঈদের পর টানা ১৪ দিন গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকার বিষয়টিও জানানো হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
গণপরিবহন চলাচলে বিআরটিএ'র দেওয়া শর্তগুলো হল:
>> বাস/ মিনিবাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলতে হবে। পাশাপাশি আসনে বসা যাবে না। গণপরিবহনে আসন বিন্যাস করতে হবে আড়াআড়িভাবে। অর্থাৎ, কোনো আসনে জানালার পাশে যাত্রী বসলে পেছনের আসনের যাত্রীকে করিডরের পাশের আসনে বসতে হবে।
>> অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলার কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হবে, তা পুষিয়ে নিতে বিদ্যমান ভাড়ার অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের।
>> গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/ কন্ডাক্টর, চালকের সহকারী ও টিকিট বিক্রির দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। তাঁদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
>> যাত্রার শুরু ও শেষে বাস-মিনিবাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। জীবাণুনাশক ছিটিয়ে এসব যান জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া যাত্রীদের হাতব্যাগ ও মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
>> গণপরিবহনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করতে হবে। শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।