রংপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড
প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে রংপুরে এক যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এক নারীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতের -৩ এর বিচারক মোস্তফা পাভেল রায়হান মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে এই রায় দেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৪ জুন উপজেলার দুরামিঠিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী চুমকিকে বিকেলে আম দেয়ার কথা বলে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নিজ খাটের নীচে পুতে রাখে পাশের বাড়ির মমিন প্রধানের পুত্র রিয়াদ প্রধান।
ধর্ষণ ও হত্যার সহযোগিতা করে তার বাড়ির কাজের মেয়ে ধলি বেগম। ঘটনার ৪ দিন পর ১৭ জুন খাটের নীচ থেকে চুমকির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় চুমকির বাবা শাহজাহান আলী বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন।
২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে চার্জশিট দেয় এবং আদালত ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর চার্জ গঠন করেন। দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর ১৯জন স্বাক্ষীর শুনানি শেষে আদালত রায় প্রদান করেন। রায়ে রিয়াদ প্রধানকে মৃত্যদণ্ডাদেশ ও ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ধলি বেগমকে খালাস প্রদান করা হয়। রিয়াদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর এবং ধলি মাইয়ের বিষয়ে আপিল করার কথা জানিয়েছেন চুমকির বাবা মা।
আসামি পক্ষের আইনজীবি কাজী মাহফুজুল ইসলাম জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তারা। এ ঘটনার সাথে ও নিহতের সঠিক প্রমাণ আদালতে দাখিল করতে পারেননি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাওছার আলী সন্তোষ প্রকাশ করে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছরের বিচার প্রক্রিয়া শেষে এ মামলার রায় প্রদান করা হয়েছে। তবে একজন আসামীকে আদালত খালাস প্রদান করায় উচ্চ আদালতে আপিল করার কথাও বলেন তিনি।