রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম, ক্ষমা চাইলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম আসায় ক্ষমা চেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে তালিকা পেয়েছি তাই প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ক্ষমা চান মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় এসেছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তীর বাবা মুক্তিযোদ্ধা তপন কুমার চক্রবর্তীর নাম।
মনীষা চক্রবর্তী ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ কাজ করার পুরস্কার পেলাম আজ। ধন্যবাদ আওয়ামী লীগকে। সদ্য প্রকাশিত রাজাকারদের গেজেটে আমার বাবা এবং ঠাকুমার নাম প্রকাশিত হয়েছে। আমার বাবা এড. তপন কুমার চক্রবর্তী একজন গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা, ক্রমিক নং-১১২ পৃষ্ঠা-৪১১৩। তিনি নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও পেয়ে থাকেন! আজ রাজাকারের তালিকায় তিনি ৬৩ নাম্বার রাজাকার।’
‘আমার ঠাকুরদা এড. সুধির কুমার চক্রবর্ত্তীকে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তিনিও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত। তার সহধর্মিণী আমার ঠাকুমা উষা রানী চক্রবর্ত্তীকে রাজাকারের তালিকায় ৪৫ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি স্ট্যাটাসে আরও লিখেছেন- ‘শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য আমার রাজনীতি করার খেসারত দিতে হচ্ছে আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে। ধন্যবাদ আওয়ামী লীগ সরকারকে।’
আমার দল বাসদ আমাকে শিখিয়েছে অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করাকে। মিছিল থেকে গ্রেফতার করে থানায় নির্যাতন করে ওরা বলেছিল যে আন্দোলন যেন না করি, নির্বাচনে যেন অংশ না নিই। রাজী না হওয়ায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অজামিনযোগ্য মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণ করেছে। আমরা জেল খেটেছি, নির্যাতন সহ্য করেছি কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি।