লকডাউনে, রমজান মাসেও চলবে করোনার টিকাদান: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান টিকাদান কর্মসূচীর অংশ হিসেবে টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ৮ এপ্রিল। তবে দ্বিতীয় ডোজের পাশাপাশি টিকার প্রথম ডোজ প্রদানও চলবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে রমজান মাসেও টিকা কার্যক্রম চলবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড ডিপ্লয়মেন্ট কমিটির সভা শেষে সভাপতি অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্রোরার স্বাক্ষরিত অধিদপ্তরের একদিক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, আগামী ৮ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া টিকার দ্বিতীয় ডোজের পাশাপাশি প্রথম ডোজের টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। ৫ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজের পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদানের তারিখ এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে। এসএমএসে দেওয়া তারিখ অনুযায়ী আগের টিকাদান কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে হবে।
"কাল ( ৬ এপ্রিল) থেকে দেশজুড়ে ভ্যাকসিন পরিবহন শুরু করতে হবে। জেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটি নিজ নিজ জেলার ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন আর পুরো কাজটি হবে দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিইউক্যালসের সহায়তায়।"
কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, আসন্ন রমজান মাসেও টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। টিকাদান চলবে লকডাউনের সময়েও। তবে এসময় ভ্যাকসিন কার্ড সঙ্গে নিয়ে আসা আবশ্যক। কারন, টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকাগ্রহণকারী রিকশা অথবা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন।
ভ্যাকসিন নেবার জন্য সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ও কেবল টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে জাতীয়ভাবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। গতকাল পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দেশে ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ১৭২ জন টিকা নিয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ৩৪ লাখ ১২ হাজার ৩ জন ও নারী ২০ লাখ ৮৬ হাজার ১৬৯ জন। তাদের মধ্যে ৯৩৮ জনের মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, হালকা জ্বরের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।