শ্রুতিমধুর নয় এমন বিদ্যালয়ের নাম পাঠানো হচ্ছে অধিদপ্তরে
শ্রুতিমধুর নয়- এমন ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামের তালিকা প্রস্তুত করেছে যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ। নাম পরিবর্তনের জন্য এসব বিদ্যালয়ের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। সেখান থেকে বিদ্যালয়ের নাম শ্রুতিমধুর রাখা হবে বলে জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম।
এ সপ্তাহের শেষের দিকে তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, দেশের যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম শ্রুতিমধুর নয়, সেসব বিদ্যালয়ের নাম নতুন করে রাখা হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সে নাম হবে শিক্ষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে শ্রুতিমধুর। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) খালিদ আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠি এসেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে। সেই চিঠিতে শ্রুতিমধুর নয় এমন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১০ আগস্ট জেলা শিক্ষা অফিস থেকে আট উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের সঙ্গে জুম সভা করে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
শ্রুতিমধুর নাম নয় এমন ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হলো: সদরে শ্রীপদ্দি রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোত রহিম রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়, টিকেজি সম্মিলনী রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোঙরপুর রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাথাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিরাজসিংহা তরফদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেশবপুরের গড়ভাঙ্গা মাঝপাড়া রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়, নেপাকাটি রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাত্রপাড়া রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়, অভয়নগরের আদিলপুর বিভাগদি রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলারাবাদ সদ্য জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মণিরামপুরের চেৎলা ডুমুরখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হানুয়ার কোমলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুন্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিবিজি এইচ রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়, চৌগাছার মাংগীর পাড়া রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাধবিলা ঝাউতলা রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়, আড়ারদহ নিমতলা রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ফতেহপুর রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়, মশ্মমপুর রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তজবীজপুর কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম জানান, শ্রুতিমধুর নয় এমন বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার কাজটা সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। কারণ, শিক্ষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে মিল না রেখে যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম রয়েছে, সেগুলো পড়তে বিব্রতকর লাগে।