সহসাই ভ্যাকসিন আসছে না ভারত থেকে
ভারতে করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় নিয়ে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ভারতের কাছ থেকে টিকা পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, "ভারতের সব জনগণকে যদি টিকা দিতে হয়, তবে এই বছরের পুরো সময়টা লাগবে। সে ক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে সেরামের টিকা পাওয়া যেতে পারে।"
তিনি আরও বলেন, "বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় চীনের কাছ থেকে আগামী মাসেই করোনাভাইরাসের টিকা পেতে পারে বাংলাদেশ। চীনের চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ বা সিনোফার্মের কাছ থেকে ওই টিকার প্রথম চালান জুলাই মাসে হাতে পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।"
রাশিয়ার কাছ থেকে টিকা কেনার অগ্রগতি সম্পর্কে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, গত সপ্তাহে রাশিয়ার সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে।
"এ ছাড়া সিনোফার্মের সঙ্গে কারিগরি যেসব সমস্যা ছিল, তা মিটে গেছে। আশা করা যাচ্ছে জুলাইতে চীন থেকে টিকা পাওয়া যাবে।"
তিনি জানান, সিনোফার্ম ছাড়া সিনোভ্যাক ও আনুই জিফেই নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে টিকার বিষয়ে সরকারের আলোচনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে আনুই জিফেইয়ের সঙ্গে এক দফা আলোচনা হয়েছে। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের টিকার তৃতীয় দফা পরীক্ষা শেষ হয়নি। সে ক্ষেত্রে আনুই জিফেইয়ের কাছ থেকে যৌথ উৎপাদনের মাধ্যমে টিকা পাওয়া যেতে পারে। তবে ওই টিকা পেতে সময় লাগবে।
সেরামের টিকা কবে আসবে নিশ্চিত নই: ভারতীয় হাইকমিশনার
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা আবার কবে আসবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। ভারতে করোনার অবস্থা এখনো খারাপ থাকায় এই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
রোববার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ভারতের হাইকমিশনার এ অনিশ্চয়তার কথা জানান।
এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে সেখানে যান। বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সংগঠনের কার্যালয়ে আসেন ভারতীয় হাইকমিশনার। তাকে স্বাগত জানান যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন তিনি।
বের হয়ে যাওয়ার সময় সেরাম ইনস্টিটিউটের করোনার টিকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন 'আমরা টিকা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছি, এ জন্য আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। সে সময়েই এ বিষয়ে বিবেচনা করা ভালো। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এখনো আলোচনা চলছে।'
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, 'বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে ৩৩ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। আশা করি টিকা উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে এটা চলমান থাকবে। কিন্তু ভারতে করোনার অবস্থা এখনো করুণ। পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে ঠিক কী হবে, তা এখনই বলতে পারছি না।'