সাতক্ষীরা ও যশোরে আমের ক্ষতি শত কোটি টাকা
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে যশোর ও সাতক্ষীরায় আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের দাবি, আম্পানের কারণে এ অঞ্চলে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে সঠিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ হলে এ অংক আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
ঝড়ে পড়ে যাওয়া আম বিক্রি করতে যশোর ও সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা বাগুরি বেলতলা বাজারে আসা ব্যবসায়ী ও চাষিরা বলছেন, ঝড়ে অন্তত ১৫ ক্যারেট আম নষ্ট হয়েছে; যার বাজার মূল্য অন্তত ১০০ কোটি টাকা। প্রতি ক্যারেটে আম থাকে ২০ কেজি করে।
বাগুরি বাজারের পাইকারী আম বিক্রেতা জয়েন্ট এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আল-উজায়ের সুজন জানান, তার ১০টি পাইকারী বিক্রেতাসহ আমচাষিদের ক্ষতি হয়েছে অন্তত দুই কোটি টাকা।
'আমার জানা মতে যশোর এবং সাতক্ষীরায় যেসব আমের আড়ৎ রয়েছে, সেখানে যারা পাইকারী সংগ্রহ করেন এমন ১০০টি আড়তে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ১০০ কোটি টাকা' বললেন আল উজায়ের সুজন।
বাগুরি বেলতলা বাজারে ঝড়ে পড়া আম গত দুই দিন ধরে বিক্রি হচ্ছে মান ও জাতভেদে ৫০ থেকে আড়াইশত টাকা মণ দরে।
উজায়ের জানান, যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন গ্রামের পাশাপাশি এ সব আম আসছে; নারীপুকুর, ইলিশপুর, ধন্যতলা, মাতযুসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে।
এ বাজারে যে হিমসাগর আম গত মৌসুমে বিক্রি সাড়ে হয়েছে সাড়ে তিন হাজার টাকা মণ দরে, সেই আম এখন মান ও আকারভেদে এখন বিক্রি হচ্ছে আড়াইশত টাকা মণ দরে। আর আম্রপালী বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা মণ।
সাতক্ষীরার আম চাষি সামছুর রহমান জানান, ঝড়ে আম পড়ে যাওয়ায় তার ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাত লাখ টাকা।
'দাম পড়ে যাওয়ার পর মাত্র দুইশ টাকা দরেও দুই মণ আম বিক্রির ক্রেতা পাচ্ছি না' আক্ষেপ সামছুরের।
যশোর এলাকার চাষি আজিজুল হক জানান, তার ক্ষতি হয়েছে ১০ লাখ টাকারও বেশি। সাত লাখ টাকায় আম বাগান কিনেছেন চারটি। ঝড়ে ওই চার বাগানের সব আম পড়ে গেছে।
তিনি বলেন,'যাদের কাছ থেকে বাগান কিনেছি তারা তো আর এ টাকা আর ফেরত দেবে না। তবে সরকারি প্রণোদনা পেলে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে উঠা সম্ভব।'
প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানান, আম চাষিদের এ ক্ষতি তারা বিবেচনায় নিয়েছেন। বিষয়টি সরকারকে জানানো হবে।