সিনোফার্ম ও ফাইজারের টিকা পাবে না চট্টগ্রাম
চীনের সিনোফার্ম ও যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের টিকার মাধ্যমে আগামী শনিবার থেকে আবারও শুরু হচ্ছে স্থগিত হয়ে যাওয়া জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির প্রথম ডোজ প্রদান। কিন্তু এ যাত্রায় এসব টিকা থেকে বঞ্চিতই থাকতে হচ্ছে চট্টগ্রামের সাধারণ টিকাগ্রহীতাদের।
সোমবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি বলেন, "দেশে আগামী ১৯ জুন থেকে আবারও ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু হলেও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে এবার চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষরা টিকা পাবেন না। তাপমাত্রা জটিলতার কারণে ফাইজার টিকা ঢাকা মহানগরীর কিছু হাসপাতালে দেয়া হবে। এছাড়া, মেডিকেল ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও মেডিকেল টেকনোলোজিষ্টদের সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হবে।"
সিভিল সার্জন বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার টিকা সংরক্ষণে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি হিমাঙ্ক প্রয়োজন যা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন কাযার্লয়সহ নির্ধারিত কোভিড হাসপাতালগুলোর ইপিআই স্টোরে নেই। একমাত্র ঢাকার তেজগাঁও কেন্দ্রীয় হিমাগারের মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এই টিকা রাখার সক্ষমতা রয়েছে। তবে সিনোফার্মের টিকা সংরক্ষণের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই, এটি উপজেলা পর্যায়েও দেওয়া যাবে। তবে ওই টিকাও আমাদের জন্য এখনো বরাদ্দ হয়নি।"
দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণ টিকাদান শুরু হয় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসা টিকা দিয়ে। সরকার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এই টিকার ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ কিনতে সেরামের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। তবে রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে ৭০ লাখ ডোজ দেওয়ার পর সেরাম আর টিকা সরবরাহ করতে পারেনি। এর বাইরে ভারত সরকার উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৩ লাখ ডোজ দিয়েছে। এ অবস্থায় অন্য দেশ থেকে টিকা পাওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। মার্কিন সরকারের উদ্যোগে দেশটির ফার্মা জায়ান্ট ফাইজার ও চীন থেকে কিছু টিকা পাওয়া গেছে, তবে তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই কম।