সুপেয় পানির আওতায় আসছে ঢাকার ৪০ লাখ বাসিন্দা
ঢাকা ওয়াসার পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার প্লান্ট থেকে ঢাকা শহরের ৪০ লাখ নগরবাসী সুপেয় পানি পেতে যাচ্ছেন।
ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান খাবার পানির চাহিদা মেটানোর জন্য পদ্মা নদীর উৎস হতে পানি সরবরাহের লক্ষ্যে পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প (ফেজ-১) এর আওতায় 'মেইন লাইন নির্মাণ ও শক্তিশালীকরণ' শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করে ঢাকা ওয়াসা। এই প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য ঢাকা ওয়াসা বিনিয়োগের জন্য বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীর অপেক্ষায় ছিল।
এ প্রকল্পে অর্থায়নে সম্মতি জানিয়েছে ড্যানিশ সরকার। রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মাইকেল হেমনিটি উইনথার ডেনমার্ক থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ সম্মতি জানান।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরে পুরান ঢাকা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায় সুপেয় পানির বর্ধিত চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। এছাড়াও এর মাধ্যমে জিডিপি বৃদ্ধি এবং উন্নত জীবন ব্যবস্থার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের উপর অত্যন্ত ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এই প্লান্টটিতে দৈনিক ৪ শত ৫০ মিলিয়ন লিটার পানি পরিশোধন করার সক্ষমতা রয়েছে। পুরোনো ডিস্ট্রিবিউশন লাইন সংস্কার এবং নতুন লাইন স্থাপনের মাধ্যমে নগরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
এই প্রকল্পটিকে লাভজনক উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ডেনিশ সরকারের সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন ঢাকাবাসী সুপেয় পানি পাবে অন্যদিকে ইনকাম জেনারেটর হবে।
পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার থেকে ঢাকায় পানি সরবরাহের জন্য ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১৪১ কি.মি.। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬৩৩ কোটি টাকা।
এসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দ্রুততম সময়ে নেভানো এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে রাজধানীতে মিনি ফায়ার স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মিনি ফায়ার স্টেশন নির্মাণে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকতে ডেনমার্ক সরকারের পক্ষে আগ্রহ প্রকাশ করেন ডেনিস রাষ্ট্রদূত।
ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম অংশ নেন।
এর আগে তিনি ডেনমার্কে করোনা পরিস্থিতির খোঁজ-খবর নেন এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।