সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের আহ্বান পরিবহন সংগঠনগুলোর
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে টানা দুই মাস বন্ধ শেষে সীমিত আকারে গণপরিবহন চালুর পর সড়ক পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন শ্রমিক-মালিক সংগঠনগুলোর নেতারা।
বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা এ আহ্বান জানান।
এই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সড়ক শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাজাহান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা, বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ওসমান আলী, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি হাজী তোফাজ্জল হোসেন, সাধারন সম্পাদক রুস্তম আলী, বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল আবু রায়হান।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, "বাস ট্রাক টার্মিনাল, সড়কে বা অন্য কোথাও কোন ধরনের চাঁদা উত্তোলন করা যাবে না। শুধু মাত্র সরকার অনুমোদিত নিজ নিজ সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী নিজ নিজ মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা নিজ নিজ অফিস থেকে সংগ্রহ করবে। এই বিধানের কোনো ধরণরে ব্যতয় ঘটলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি বিধান লঙ্ঘনকারী ব্যাক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংগঠন আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, "সড়ক পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধ ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারকে বার বার অনুরোধ করেছি। কিন্তু আজও তা পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় নাই।"
সেখানে আরও বলা হয়, "সড়ক পরিবহনে চাঁদাবাজি পরিবহন খাতকে বিশৃঙ্খল করে তুলেছে। আমরা সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করছি যে, আগামী ৩১ মে গণপরিবহন চালু হওয়ার সময় থেকে সড়ক পরিবহন সেক্টরে, টার্মিনালে সড়কে বা অন্য কোথাও কোন ধরনের চাঁদা উত্তোলন করা যাবে না।"
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, "বিভিন্ন কোম্পানীর নামে পরিচালিত যানবাহন পরিচালনার ক্ষেত্রে অনিয়ম পরিহার, চাঁদাবাজি বন্ধ ও দৈনিক চুক্তিভিত্তিক গাড়ী ভাড়া না দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এই বিধানের কোনরুপ ব্যতয় ঘটলে সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ ৬৬ দিন পর সীমিত আকারে ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে গণপরিবহন চালু করার ঘোষণা একটি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়ছে।