৩০ নভেম্বর পালিত হচ্ছে জাতীয় পারমাণবিক শক্তি দিবস
আগামীকাল ৩০ নভেম্বর দিনটিকে জাতীয় পারমাণবিক শক্তি দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা দিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের প্রথম ভিত্তি-প্রস্তর স্থাপনের বিষয়টিকে উদযাপনের জন্য দেশব্যাপী দিনটি পালন করা হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়।
আগামী ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মোট ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুইটি ইউনিট, প্রতিটি ১২০০ মেগাওয়াট করে। ২০১৮ সালের আগস্টে দ্বিতীয় ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। প্রথম ইউনিটের কাজ শুরু হবার এক বছর পর দ্বিতীয় ইউনিটটি চালু হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র প্রকল্পের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলোক চক্রবর্তী বলেন, “বিশ্বের অল্প কয়েকটি দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। তাদের একটি হতে পেরে আমরা ভাগ্যবান। এই বিষয়টি উদযাপন করার জন্য দিনটিকে জাতীয় পারমাণবিক শক্তি দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।”
বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়া। এই মহা প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় ধরা হচ্ছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন বা ১৩শ কোটি টাকা। আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।