৪র্থ বারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত ও মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। তবে শর্ত অনুযায়ী তাকে বাড়িতেই চিকিৎসা নিতে হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রোববার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "এ সময়ে খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া বাকি এখন।"
চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে, এনিয়ে চতুর্থবারের মতো খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিত করা হবে।
প্রাক্তন এ প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে কারাদণ্ড স্থগিতাদেশের সুবিধা পেয়েছেন। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর তৃতীয় মেয়াদের ছয় মাসের জেল স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে।
তার পরিবার গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আরেকবার সময় বাড়ানোর আবেদন করে। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। ৭ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় মেয়াদ বাড়ানোর মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়।
খালেদার পরিবার তাকেও চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতিও চেয়েছিল।
দুটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত খালেদা জিয়াকে তার বয়স এবং মানবিক বিবেচনায় করোনভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছর একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয়।
এ বছরের ১১ এপ্রিল তার কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। তখন বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। পরে, ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ৪মে তার কোভিড নেগেটিভ আসে। খালেদা জিয়া কোভিড এবং অন্যান্য শারীরিক জটিলতার চিকিৎসার ৫৩ দিন পরে ১৯ জুন হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যান।