‘পরিবারের দায়িত্ব নিতে চেয়েছিল আমার মেয়ে, আজ তাকেই হারালাম’
ডিএনএ টেস্টের জন্য রক্ত দেওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে মর্গের সামনে নিশ্চল মূর্তির মতো দাঁড়িয়েছিলেন সুজন মিয়া। ছোট মেয়ের পোড়া লাশ ফিরে পাওয়ার অধীর অপেক্ষা করছিলেন এ সন্তানহারা পিতা।
নারায়ণগঞ্জের হাশেম ফুড কারখানায় তার ছোট মেয়ে কাজ করতো। সেখানে গতরাতের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সে-সহ এপর্যন্ত প্রায় ৫২ জন মারা গেছে।
অথচ অভাবের সংসারে বাড়তি দুটি টাকার জন্য দুই কন্যা; লতা আক্তার ও ফাতেমা আক্তারকে ওই কারখানায় কাজ করতে পাঠান রিকশাচালক সুজন মিয়া। দারিদ্র্যের অক্ষমতা আজ তাকে পিতৃহারাও করলো। অসহায় চেহারায় ফুটে উঠেছিল তাই ভাবলেশহীন বিহ্বল অভিব্যক্তি।
নাইট শিফটে কারখানায় কাজ শেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে ফিরেছিল তার বড় মেয়ে। কিন্তু, ছোট মেয়েটি আর ফেরেনি।
মেয়ের সাথে শেষ দেখার স্মৃতি স্মরণ করে সুজন বলেন, ফাতেমা বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় কাজে যায়; যাওয়ার সময় আমার থেকে দশ টাকা নিয়েছিল।
শোক-বিহব্বল এ পিতা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমি মেয়ের লাশ দেখতে চাই। আমার মেয়ে বলতো; বাবা আমরা দুই বোন মিলে কাজ করে সংসার চালাবো। আমার সেই মেয়ে আজ চিরতরে হারিয়ে গেল।"