দুর্ঘটনার পর ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ৩৫ কি.মি. যানজট
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা টোল আদায় বন্ধ থাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার ভোর রাত থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপার থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার তারটিয়া পর্যন্ত এ যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট ও প্রচন্ড গরমে ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
এছাড়াও গন্তব্যে যেতে তিন থেকে চার গুন বেশি সময় লেগেছে। আজ বিকাল ৫টা পর্যন্তও মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটার যানজট ছিল।
সরেজমিন শুক্রবার বিকেলে ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কের বাসের পাশাপাশি খোলা ট্রাক ও পিকআপেও ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে ফিরছে মানুষ। এছাড়াও অনুমতি নিয়ে মহাসড়কে অন্য জেলার মোটরসাইকেলও চলছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজা সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ে ১২/১৩ হাজার যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়। কিন্তু ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েক গুণ বেশি যানবাহন সেতু পারাপার হচ্ছে।
কুড়িগ্রামগামী অজয় দত্ত বলেন, সকাল ৫ টায় বাইপাইল থেকে গাড়িতে উঠেছি। দুপুর পর্যন্ত টাঙ্গাইলের পৌলি পর্যন্ত এসেছি। খাবারও খেতে পারছি না। কোথায় পানিও পাচ্ছি না। গরমসহ সব মিলিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ট্রাক চালক কাদের মোল্লা বলেন, বেড়িবাধ থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে কখনও টানা ৩০ মিনিট গাড়ি টানতে পারিনি। সড়কের দিকে তাকালে শুধু গাড়ি আর মানুষ। পা ফেলার মতো জায়গা নেই।
বগুড়াগামী রাশেদা বেগম নামের এক গৃহবধু বলেন, আমরা গরম সহ্য করতে পারলেও আমার তিন বছরের ছেলেটি গরম সহ্য করতে পারছে না। সবই মিলিয়ে আমাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে।
যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মহাসড়কে ৬২০ জন পুলিশ ও ১০০ জন এপিবিএন সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হাইওয়ে পুলিশ ও সেতু কর্তৃপক্ষের চারটি রেকার সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
সড়ক পর্যবেক্ষণের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। সেখান থেকে সড়কের বিভিন্ন জায়গা মনিটরিং করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, যানজট নিরসনে মহাসড়কে সাত শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপরে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনগুলো সরাতে সময় লাগে, এ কারণে এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট টোল আদায় বন্ধ রাখে সেতু কর্তৃপক্ষ।