৩ মাসের বেতন বকেয়া রেখে কারখানা বন্ধ, চট্টগ্রামে বিজিএমইএ ঘেরাও
শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন না দিয়ে চট্টগ্রামে বেইজ টেক্সটাইল নামের একটি পোষাক কারখানা বন্ধ করে দেওয়ায় বিজিএমইএ'র অফিস ঘেরাও করেছে কারখানাটির শ্রমিকরা।
গত ১৩ আগস্ট কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়া কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়ায় আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বিজিএমইএ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন শ্রমিকরা।
পরবর্তীতে শিল্প পুলিশ ও বিজিএমইএ কর্মকর্তাদের আশ্বাসে দুইদিনের জন্য আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয় শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা বলছেন, কারখানা বন্ধ করার আগে তিন মাস বেতন দেওয়া হয়নি তাদের।
বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন পূর্বাঞ্চলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, "পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ১৩ আগস্ট বেইস টেক্সটাইল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তিনমাসের পাওনা পরিশোধ না করে হঠাৎ কারখানা বন্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকরা। আমরা দুইদিনের সময় বেঁধে দিয়েছি। যদি পাওনা আদায়ে কোন সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে লাগাতার আন্দোলন চলবে।"
চট্টগ্রাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এসপি মো: সোলায়মান টিবিএসকে বলেন, চট্টগ্রামের বেইজ টেক্সটাইল বন্ধ হয়ে যাবে সেজন্য শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে সিন্ধান্ত জানতে প্রায় শতাধিক শ্রমিক বিজিএমইএ ভবনে এসেছিলো। বিজিএমই'র কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে দুপুর ১ টার দিকে শ্রমিকরা চলে যায়।"
গত ২৭ জুলাই নগরের চান্দগাঁও থানাধীন বাহির সিগন্যাল মোড়ে একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছিলো এই কারখানার শ্রমিকরা।
বিজিএমই'র তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামের কালুরঘাট শিল্প এলাকার প্রতিষ্ঠান বেইজ টেক্সটাইল। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: হাসান শিবলী। রপ্তানিমুখী তৈরী পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানটি টি শার্ট, পলো শার্ট, ট্যাঙ্ক টপ প্রস্তুত করে।
বেইজ টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: হাসান শিবলীর সাথে টেলিফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
বিজিএমইএ'র সহ সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মালিক পক্ষের সাথে আলোচনার আশ্বাসে বেইজ টেক্সটাইলের শ্রমিকরা ফিরে গেছেন।