ডিমের বাজার কারসাজিতে জড়িতদের শাস্তি চায় এফবিসিসিআই
অস্বাভাবিক ভাবে ডিমের দাম বাড়ানোর কারসাজিতে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)।
তা না হলে মুষ্টিমেয় কিছু লোকের অসাধুতার কারণে পুরো ব্যবসায়ী সমাজকে সেই অসাধুতার দায় নিতে হবে বলে উল্লেখ করে তারা।
সোমবার সকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর বাজার ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ে নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানিয়েছেন এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন 'একদিনে ডিমের দাম তিন টাকা বেড়ে যাবে, সরকারি সংস্থার অভিযানের পর আবার দাম কমে যাবে, এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।'
সম্প্রতি ডিমের দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের পর দাম কমে যায়। এর মাধ্যমেই ডিমের বাজারে কারসাজি প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে উদ্দেশ্য করে সভাপতি বলেন, 'ডিমের বাজারে কারসাজিতে জড়িত কাউকে খুঁজে পেলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে অন্য কেউ এই সুযোগ না নিতে পারে। সামান্য কয়েকজনের জন্য পুরো ব্যবসায়ী মহলকে অসাধু হিসেবে বদনাম শুনতে হচ্ছে।'
ডিএনসিআরপি'র মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, 'আমরা তথ্য সংগ্রহ করেছি, আরও করছি। ডিমের বাজারে কারসাজি হয়েছে এটা স্পষ্ট। যারা এটা করেছে তারা পুরো ব্যবসায়ী সমাজকে কলুষিত করেছে।'
'তিন দিনের অভিযানে ডিমের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কমেছে। তার মানে কোনো একটা পক্ষ বাজারে কারসাজি করেছে। যারা এটা করেছে তাদের বিরুদ্ধে অধিদপ্তর থেকে প্রয়োজনে মামলা করা হবে,' বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এর সভাপতি মশিউর রহমান দাবি করেন, প্রতিদিন ৪ থেকে ৪.৫ কোটি টন ডিম উৎপাদন হয়। এর মধ্যে মাত্র ৩০ লাখ পিস উৎপাদন করে বড় কোম্পানিগুলো। যা মোট উৎপাদনের মাত্র ৬ শতাংশ। এ কারণে বড় কোম্পানিগুলো চাইলেও বাজারে কারসাজি করতে পারে না।
তবে এই তথ্যের চ্যালেঞ্জ করে এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাহালউদ্দিন আলমগীর বলেন, 'আমার কাছে তথ্য আছে বড় কোম্পানিগুলো প্রায় ৮০ লাখ পিস ডিম উৎপাদন করে। যা মোট উৎপাদনের প্রায় ২০ শতাংশ। যে কারণে তারা চাইলেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।'
ভোক্তা কণ্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান জানান, ১৪ দিনে ডিমের বাজার থেকে বাড়তি ২৬৮ কোটি ও ব্রয়লার মুরগির বাজার থেকে ২২৫ কোটি ভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত নেওয়া হয়েছে। খামারি থেকে সংগ্রাহক হয়ে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর আগে চারটি স্তরে এই বাড়তি টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।