সৌদি ভিসার জন্য নিয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আর অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে না
সৌদি দূতাবাসে কর্ম ভিসার আবেদনে প্রতিটি আবেদনের বিপরীতে দালালদের মাধ্যমে 'অনানুষ্ঠানিকভাবে' বাংলাদেশের নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর অতিরিক্ত ২২০ থেকে ২৫০ ডলার দেওয়া বন্ধ হয়েছে।
নিয়োগকারীরা বলেছেন, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে গত ২৫ জুলাই "সৌদিগামী শ্রমিকদের ভিসা প্রতি দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ২৫ ডলার" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে না বলে জানান তারা।
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয় যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অভিবাসন ব্যয় কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বেড়েছে। এর কারণ হলো নিয়োগকারী সংস্থাগুলো ঢাকার দূতাবাস কর্তৃক ইস্যুকৃত কাজের ভিসার জন্য অন্যান্য ব্যয়ের অজুহাতে অতিরিক্ত চার্জ নিচ্ছে।
রিক্রুটিং এজেন্টদের অভিযোগ, তারা দালালদের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা না দিলে দূতাবাস ভিসা দেয় না।
"তবে গত কয়েক সপ্তাহে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে। এখন শ্রমিকরা অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই ভিসার সুবিধা পাচ্ছেন," টিবিএস-কে বলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা)-এর একজন সাবেক নেতা ও একটি রিক্রুটিং সংস্থার মালিক।
অপর এক রিক্রুটার বলেন, এই অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের পেছনে একটি সিন্ডিকেট সক্রিয় ছিল। তবে আপাতত তা বন্ধ আছে।
প্রায় এক বছর ধরে গোপনে এই অর্থ আদায় চলছে বলে দাবি করে নিয়োগকারী সংস্থাগুলো।
কর্ম ভিসা পেতে হলে নিয়োগকারী সংস্থাগুলোকে দালালদের সরাসরি অর্থ দিতে হয় উল্লেখ করে তিনি জানান, এই অতিরিক্ত অর্থ শেষ পর্যন্ত আবেদনকারী ভিসাপ্রত্যাশীদের ওপরেই বর্তায়। ফলে সরকারিভাবে নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ের চেয়ে অবৈধ লেনদেনসহ নানা কারণে বর্তমানে ব্যয় বেশি হওয়ার পরেও ভিসা পেতে আরও টাকা খরচ করতে হয়।
সৌদি আরবে যেতে সরকার-নির্ধারিত অভিবাসন খরচ এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা, কিন্তু একজন কর্মীকে সৌদি যেতে খরচ করতে হয় সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা।
এর আগে, সৌদি দূতাবাস টিবিএসকে জানায় যে দূতাবাসে ভিসার আবেদন করার জন্য কোনও ফি বা চার্জ নেই।