সেপা চুক্তির জন্য চলতি বছরেই আলোচনা শুরুর নির্দেশ হাসিনা-মোদির
সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির (সেপা) সইয়ের জন্য চলতি বছরেই আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত।
বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের সময়ে দ্রুত সেপা আলোচনা শুরু করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজ নিজ দেশের বাণিজ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি চূড়ান্ত হওয়া সেপার যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে উভয় দেশের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন দুই শীর্ষ নেতা।
বুধবার মোদি বলেছেন, বাংলাদেশ এই অঞ্চলে ভারতের বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী ও বাণিজ্যিক অংশীদার। 'এশিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানির সর্ববৃহৎ বাজার হলো ভারত। এই প্রবৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করতে শিগগিরই আমরা দ্বিপক্ষীয় সেপা চুক্তির জন্য আলোচনা শুরু করব'।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দু'দেশের সম্পর্ক বাড়াতে সীমান্তে বাণিজ্যিক অবকাঠামো উন্নয়ন, একে-অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় অর্থনীতি পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনে সমর্থ হবে।
গতবছরের ২৬-২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে উভয় পক্ষই সেপা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছিল। এসময় উভয় প্রধানমন্ত্রী অশুল্ক প্রতিবন্ধকতাগুলি তুলে দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি'র সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ বলেছেন, সেপা চুক্তি হলে উভয় দেশই লাভবান হবে।
যৌথ বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, হাসিনা ও মোদি দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য সুবিধার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। স্থলবন্দরের অবকাঠামো জরুরি ভিত্তিতে উন্নয়ন ও অশুল্ক সুবিধা এবং বন্দর নিষেধাজ্ঞা তুলে দিতে জোর দেন তারা।