১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করেছেন জজ মিয়া
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবাস করা জজ মিয়া ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আপিল করেন জজ মিয়ার আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।
ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পাশাপাশি ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জজ মিয়াকে যারা জড়িত করার চেষ্টা করেছিল তাদের খুঁজে বের করতে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করতে হাইকোর্টের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক, মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), নোয়াখালী সেনবাগ থানার ওসি, পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ খোদা বকশ চৌধুরী, সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ ও মুন্সী আতিকুর রহমান ও সাবেক পুলিশ সুপার রুহুল আমিনকে বাদি করা হয়েছে এই রিট।
এছাড়াও, রিটে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ খোদা বকশ চৌধুরী, সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান, সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিনের যাবতীয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা আদায়ের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
এতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ ২২ জন নিহত হন।
গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে 'জজ মিয়া' নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ১৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি।
২০০৫ সালের ২৬ জুন আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জজ মিয়া বলেন, টাকার বিনিময়ে তিনি গ্রেনেড হামলায় অংশ নিয়েছিলেন। পরে জজ মিয়া দাবি করেন, গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার বিষয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে।
পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে এই মামলা আবার তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন মামলা দুটির চার্জশিট দেয় সিআইডি।
একই বছর কারাবন্দি জজ মিয়া মামলা থেকে মুক্তি পান।