মিরপুরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ
আজ বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপিকে ধাওয়া দিলে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বৃহস্পতিবার মিরপুরের ৬ নম্বর সেকশনে পূর্বঘোষিত সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা তাদের বাধা দেয়।
বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, 'পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার এই সমাবেশ হওয়ার কথা। সে অনুযায়ী বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে যাচ্ছিলেন।
'কিন্তু আগে থেকে অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর অস্ত্রসহ হামলা চালায়।'
ইকবাল বলেন, তিনি কোনোরকমে আক্রমণ থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে বেলা আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে মিরপুর-৬ থেকে মিরপুর-১০ পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কয়েক জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অন্যদিকে পুলিশের উপ-কমিশনার (মিরপুর জোন) জসিম উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
তিনি বলেন, 'মিরপুর-৬-এ বিএনপির সমাবেশের পাশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শোক সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিল। তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ আওয়ামী লীগ কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার পর বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে।'
এ ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি এবং সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও পুলিশের গুলিতে ভোলায় নুরে আলম, আবদুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওন হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
বিএনপির তথ্যমতে, আগস্টে তাদের ৫৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৪৭টি মামলা করা হয়েছে।