বৃহস্পতিবার নতুন পরিচালনা পর্ষদ পাচ্ছে ইভ্যালি, পরিচালকের দায়িত্বে শামীমা
বৃহস্পতিবার বিতর্কিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভালির দায়িত্ব নেবে নতুন পরিচালনা পর্ষদ।
গত মাসের শেষের দিকে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের বেঞ্চ কর্তৃক গৃহীত হাইকোর্টের (এইচসি) আদেশের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নতুন পর্ষদের নেতৃত্বে থাকবেন শামীমা নাসরিন।
ইভ্যালির জন্য ১১ মাস আগে আদালতের গঠন করে দেওয়া ৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ সোমবার পদত্যাগ করেছে। সাবেক বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ছিলেন ওই পর্ষদের প্রধান।
শামীমা নাসরিন, তার মা এবং শ্যালককে আগামীকাল (২২ সেপ্টেম্বর) ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
১০ আগস্ট ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান তাদের কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য আদালত-নিযুক্ত বোর্ডের কাছে আবেদন করেন।
আবেদনে তিনি নিজেকে, তার মা এবং তার বোনের স্বামীকে পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন।
আবেদনে আরো বলা হয়, কোম্পানির ৫০ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ২০ শতাংশ শেয়ার সাবেক চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে তার মা এবং আত্মীয়ের নামে স্থানান্তর করেছেন।
হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে, নতুন পরিচালনা পর্ষদকে ইভ্যালির জন্য স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের সেই কর্মকর্তা যুগ্ম সচিবের চেয়ে নিচের কোনো পদে থাকতে পারবেন না। নতুন বোর্ডে ই-ক্যাবের একজন প্রতিনিধিও থাকবেন।
২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে ইভ্যালি। গ্রাহকদের আকর্ষণ করার জন্য অস্বাভাবিক হারে ডিসকাউন্ট অফার করতো ইভ্যালি। গ্রাহকদের থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়ে কয়েক মাস পর পণ্য সরবরাহ করা হতো।
এ বিষয়টি স্পষ্ট ছিল যে, আগের অর্ডারের টাকা তারা নতুন গ্রাহকদের থেকেই নিতো।
পরবর্তীতে একজন গ্রাহকের দায়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সমস্ত স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তরের উপর স্থগিতাদেশ দেয়।
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটি অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য কেন একজন লিকুইডেটর নিয়োগ করা হবে না তা জিজ্ঞাসা করে আদালত একটি রুল জারি করে।
এরপর ২০২১ এর ১৮ অক্টোবর ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের দায়বদ্ধতা পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ এবং মূল্যায়নের জন্য একটি চার সদস্যের নতুন বোর্ড গঠন করে হাইকোর্ট।
ইভ্যালির নিজস্ব মূল্যায়ন অনুসারে, তাদের মোট সম্পদ বর্তমানে ১২১ কোটি টাকা। কিন্তু তাদের কাছে গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি পাওনা রয়েছে।