ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ
আটকে রেখে নির্যাতন এবং ফেনীর কারাগারে কক্ষ তল্লাশির অভিযোগ এনে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন চট্টগ্রামের আদালত। পুলিশ ব্যুরো অভ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনি আদালতে এ মামলার আবেদন করেন।
আজ রোববার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে, ৮ সেপ্টেম্বর কারাগারে থাকা বাবুলের পক্ষে তার আইনজীবী মামলা নেওয়ার আবেদন করেছিলেন।
আবেদনে গত বছরের ১০ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত বাবুলকে পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়ে হেফাজতে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয় এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলার আবেদন করা হয়। ওইদিন আদালত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আদেশের তারিখ ধার্য করেন; কিন্তু সেদিন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ছুটিতে থাকায় রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) আদেশের জন্য তারিখ ধার্য ছিল।
আবেদনভুক্তরা হলেন- পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা, জেলা পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, পিবিআইয়ের পরিদর্শক এনায়েত কবির, সাবেক পরিদর্শক এ কে মহিউদ্দিন ও সন্তোষ চাকমা।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'বাবুল আক্তার একজন পুলিশ সুপার ছিলেন। কোনো পরিদর্শকের এসপির মতো সাবেক পদধারী লোককে মারধর ও নির্যাতন করাটা অস্বাভাবিক। বাবুল আক্তার অনেকবার আদালতে এসেছেন, জামিন চেয়েছেন। কিন্তু, এই ১ বছর ৪ মাসে তিনি কোথাও আদালতে নির্যাতনের কথা বলেননি'।
তাই আদালত মনে করেছে; মিতু হত্যা মামলার আসামি হিসেবে মামলাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তিনি নতুনভাবে এই আবেদন দিয়েছেন। তাই আদালত তার করা মামলা খারিজ করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে- বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, 'নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩-এর ১৫ (১) ধারা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫ (২) ধারায় যে মামলার আবেদন করা হয়েছিল- তা আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। আমরা এই বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাব।'