বড় হচ্ছে বিয়ের বাজার
বিয়ের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নানান রকমের আয়োজন থাকে। বিয়ের মূল অনুষ্ঠানসহ এর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন আয়োজনকে ঘিরে এ সেক্টরের পণ্যের চাহিদা বাড়ছে; এতে বড় হচ্ছে বিয়ের বাজার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরে দেশের বিয়ের বাজারের আকার দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বিপুল সংখ্যক ওয়েডিং প্ল্যানার ও ইভেন্ট অর্গানাইজার গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে বাগদান, বিয়ে, পানচিনি, গায়ে হলুদ এবং বৌভাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য আকর্ষণীয় সব ইভেন্ট প্যাকেজের অফার দিচ্ছে।
৩ দিনব্যাপী ওয়েডিং এক্সপো ২০২২ আয়োজন করা হয়েছিল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
ইভেন্টের সিইও আর্কিটেক নুজহাত নাওয়া দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমরা ক্রেতা দর্শনার্থীদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। প্রতিবছর আইসিসিবির সঙ্গে এমন আয়োজন করবো আমরা। এবারের আয়োজনে সব কিছু ছিল। ফ্যাশন শো ছিল, টপ ডিজাইনারা এসেছে। ওয়েডিং ডেকর , ফুড, কেক, ক্যাটারিংসহ, হল বুকিং, মিঠাই পণ্য সবারই স্টল ছিল এখানে।"
নুজহাত বলেন, "আমার থিম হলো বাংলাদেশি উদ্যেক্তাদের নিয়ে প্রোগ্রাম করা।"
এই এক্সেপোতে হোটেল, ক্যাটারিং, ফার্নিচারের স্টল, অভিজাত বুটিক হাউস, জুয়েলারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫৬টিরও বেশি স্টল ছিল। দেশি বিদেশি পণ্যর প্রদর্শন ছিল এখানে।
মিরপুর শেওড়াপাড়ার মারুফুর রহমান জানান, সামনের শীতে বড় ভাইয়ের বিয়ের আয়োজনের জন্য ভেন্যু ঠিক করা থেকে শুরু করে খাবারের আয়োজনসহ নানান কাজে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান বাছাই করতে এক্সপোতে এসেছেন তিনি।
সাইমন বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপক আশানুল হোসেন (আহসান) টিবিএসকে বলেন, "আমরা সার্ভিস ওরিয়েন্টেট ইন্ডাস্ট্রি। আমারা প্রতিটি গেস্টকে যথাযথ সার্ভিস দেই। এর ফলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের চাহিদা বেশি।"
'ওয়েডিং এক্সপো' একটি ইউনিক আইডিয়া। এখানে খাবার, মেকাপ থেকে শুরু করে সব তথ্য থাকে। বিয়ের পর হানিমুনে কোথায় যাবেন, সেটিরও প্যকেজ থাকে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আহসান আরও বলেন, "দেশের মধ্যে হানিমুনের জন্য কক্সবাজারের সাইমন বিচ রিসোর্ট হতে পারে স্বপ্ন পূরণের জায়গা। আমাদের হানিমুন প্যাকেজে রয়েছে ক্যান্ডেল নাইট ডিনার, হানিমুন কেকসহ আরও অনেক কিছু।"
ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসসিবি)-এর ডেপুটি ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) মেহেদী হাসান মোল্লা বলেন, ওয়েডিং এক্সপো সামাজিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে। এটি একটি ইন্ড্রাস্ট্রিতে রূপ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, "একসাথে ১০ হাজারের ওপরে গেস্ট নিয়ে আমরা প্রোগ্রাম করতে পারি। আমাদের বেস্ট ক্যাটারিং সার্ভিস রয়েছে। আমরা ওয়েডিং এবং কর্পোরেট যেকোনো ধরনের যেকোনো ডেকর করে থাকি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসও আমরা দেই। আমরা এই মেলাতে ভেন্যু বুকিংয়ে সর্বচ্চ ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দিয়েছি।"
ইভেন্টের পরিচালনায় ছিল বায়ো-জিন কসমেসিউটিক্যালস। এর স্টলেও দেখা গেছে প্রচুর ভিড়।
এক্সপোতে পল্টন এলাকার বাসিন্দা হাবিবা রহমান বলেন, "আমি বায়ো-জিনের পণ্য ব্যবহার করি। আমার এক আত্নীয়ের বিয়ে হবে কয়েক মাস পরে। স্টলে আমি তার জন্য প্যাকেজ দেখতে এসেছি।"
বায়ো-জিন কসমেসিউটিক্যালসের ফিটনেস নিউট্রিশনিস্ট লাবণ্য পাল অন্তরা বলেন, বাংলাদেশে স্কিনকেয়ার চেইন শপ নারীদের নান্দনিক সৌন্দর্যায়নে কাজ করছে।
এক্সপোতে দ্য ওয়েডিং কালেকটিভ, চ্যান্টিলি এবং ভিনটেজ ফার্নিচারের মতো বেশ কয়েকটি কোম্পানিও নিজেদের পণ্য প্রদর্শন করে।