যশোর: গণপরিবহন নেই, নানা বিকল্প উপায়ে খুলনা যাচ্ছে বিএনপি কর্মীরা
যশোর থেকে ১৮টি রুটে সব ধরণের পরিবহন চলাচল করলেও আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার শুধুমাত্র যশোর থেকে খুলনামুখি কোন গণপরিবহন চলাচল করছে না।
বাকি ১৭টি রুটে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আবার মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারও ভাড়ায় যাচ্ছেনা।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ সমাবেশ ঠেকাতে সরকার পরিকল্পিতভাবে যশোর থেকে খুলনামুখি গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা মিঠু জানান, শনিবার খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশ হবে। সেখানে গাড়ি চলাচল করলে শ্রমিকদের জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে। গাড়ি ভাংচুরের আশংকায় মালিক শ্রমিকরা মিলে যশোর খুলনার গণপরিবহন চলাচল দুই দিন বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঈগল পরিবহনের স্বত্ত্বাধিকারী পবিত্র কাপুড়িয়া বলেন, "সব দলের সমাবেশে গাড়ি ভাংচুরের আশংকা থাকে। যেকারণে আমরা পরিবহন বন্ধ রেখেছি।"
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গণপরিবহন বন্ধের কারণে শুক্রবার সকাল থেকে বিএনপি কর্মীরা বিভিন্নভাবে খুলনায় যাচ্ছে। বিশেষ করে ট্রেনযোগে তারা যাচ্ছে।
সাজ্জাদ হোসেন নামে এক যুবদল কর্মী জানান, তারা শুক্রবার ১১টার ট্রেনে করে খুলনায় পৌঁছেছেন। কোতোয়ালি থানার ওসির নেতৃত্বে তাদের বাধা দেয়া হলেও সবাই ট্রেন আসার সাথে সাথেই উঠে পড়ে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, "বিএনপি কর্মীরা খুলনায় যেতে গাড়ি ভাড়া পাচ্ছেন না। চালকরা বলছেন, বিএনপিকে গাড়ি দিলে মামলার ভয় রয়েছে।"
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত অভিযোগ করে বলেন, "আওয়ামী লীগের নির্দেশেই খুলনাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। লঞ্চ-ট্রলার এবং ঘাট বন্ধেরও পরিকল্পনা চলছে। সরকার যে ষড়যন্ত্র করবে তা আগেই ধারণা ছিল। তবে বিএনপির বিকল্প কৌশল রয়েছে।"
সমাবেশে ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘাটানো হবে। বিএনপির প্রতিটি কর্মী শত বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশস্থলে আসবে।