সাতক্ষীরা-খুলনা রুটে বাস বন্ধে ভোগান্তিতে যাত্রীরা, বিএনপির বিকল্প প্রস্তুতি আগে থেকেই
খুলনায় বিএনপির মহা সমাবেশকে ঘিরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাস চলাচল। সাতক্ষীরা থেকে যাত্রীবাহি কোন বাস খুলনার উদ্দেশ্যে ছাড়ছে না।
তবে বাকি রুটগুলেতে সাতক্ষীরা থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিএনপি বলছে, সরকারের এ ষড়যন্ত্র আগেই ধারণা করেছিলো তারা। ফলে আগে থেকেই নেওয়া হয়েছে বিকল্প প্রস্তুতি।
সাতক্ষীরা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সাতক্ষীরা-যশোর-কালিগঞ্জ-শ্যামনগর-আশাশুনি রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শুধুমাত্র খুলনা রুটে বাস চলাচল বন্ধ।
বাস চলাচল বন্ধের কারণ হিসেবে বাস চালক মহাতাব হোসেন বলেন, "সব রুটে বাস চলাচল করছে, শুধুমাত্র খুলনা রুটে বন্ধ। বিএনপির মিটিং হবে সেকারণে লোকজন যেন যেতে না পারে তাই বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।"
এদিকে, খুলনা রুটে বাস বন্ধ থাকায় দূর্ভোগে পড়েছেন হাজারো যাত্রী। বিকল্প উপায়ও খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ। তবে মাহেন্দ্র, ইজিবাইক, মোটর সাইকেলে খুলনা যাচ্ছেন অনেকে।
ভারতের হুগলী থেকে সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড়ে পৌঁছে বিপাকে পড়েছেন নরেশ চন্দ্র হালদার। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া যাবেন তিনি।
ভারতীয় নরেশ চন্দ্র হালদার বলেন, "বাস চলাচল বন্ধ তাহলে ভোমরা বন্দরে আটকে দিয়ে জানানো যেত। এ পর্যন্ত পৌঁছে দেখছি বাস বন্ধ। এখন কিভাবে আমি পৌঁছাবো?"
অন্যদিকে, খুলনায় বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে বিকল্প প্রস্তুতি নিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি। সাতক্ষীরা থেকে ছয় হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী।
তিনি বলেন, "সরকার এমন কাণ্ড করবে আমরা আগে থেকেই ধারণা করেছিলাম। সেজন্য বিকল্প প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি আগে থেকেই।"
তিনি জানান, "গাড়ি বন্ধের আগেই হাজারো নেতাকর্মী সাতক্ষীরা থেকে খুলনায় এসে অবস্থান করছেন। এছাড়া মোটর সাইকেল ও নৌপথে সাতক্ষীরা থেকে ছয় হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে পৌঁছাবেন। তবে তারা বিচ্ছিন্নভাবে আসবেন। যেন পথিমথ্যে কোন বাঁধার শিকার না হন। মহাসমাবেশের জনস্রোত কোনভাবেই বন্ধ করতে পারবে না সরকার।"