নোয়াখালীতে গাছের চাপায় শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট ঝড়ো বাতাসে বসতঘরের ওপর গাছ পড়ে স্নেহা নামের এক বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির মা আমেনা বেগম (২৩)।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পূর্ব চরবাটা গ্রামের হাবিবিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্নেহা ওই গ্রামের এডভোকেট আবদুল্লাহর মেয়ে। আহত আমেনাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারা জেলা জুড়ে সোমবার ভোর থেকে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়। বিকেল থেকে বৃষ্টির সাথে ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করে। প্রতিদিনের ন্যায় রাতে খাওয়া শেষে শিশু কন্যা স্নেহাকে নিয়ে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন আমেনা বেগম। রাত ৩টার দিকে তাদের বসত ঘরের পাশে থাকা একটি গাছ উপড়ে তাদের ঘরের ওপর পড়ে। এসময় গাছের চাপে ঘরটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ভিতরে থাকা স্নেহা এবং আমেনাকে চাপা দিল ঘটনাস্থলে মারা যায় স্নেহা।
নিহতের পিতা আবদুল্লাহ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ বলেন, 'এখনও আমরা এ বিষয়ে খোঁজ পাইনি। খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এদিকে প্রচন্ড বাতাসের কারণে নোয়াখালীতে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে বেশ কিছু জায়গায় বাড়িঘর, গাছপালা ভেঙে যাবার ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছু এলাকায় তীব্র বাতাসে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় মধ্য রাত থেকেই নোয়াখালীর অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া গ্রামীণ সড়ক, মেঘনা নদীর তীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে আজ পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার ভোর থেকে সড়কে ভেঙে পড়া গাছগুলো সরানো, ঘর মেরামতসহ আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলো থেকে ফিরতে শুরু করেছে লোকজন। তবে চেয়ারম্যান ঘাট ও নলচিরা ঘাটসহ হাতিয়ার কোন ঘাটেই নৌ চলাচল শুরু হয়নি।
ঘূর্ণিঝড়ে হাতিয়ার কয়েকটি বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নিঝুম দ্বীপ, সুখচর, চরকিং, চরঈশ্বরসহ বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।