'ওপেন হাউস ডে'র মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পরামর্শে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ: আইজিপি
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, "দেশে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে 'পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ' মূলমন্ত্রে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। এখন প্রতিমাসে সারাদেশে প্রতি থানায় 'ওপেন হাউস ডে' পালন করা হয়। যেখানে সাধারণ মানুষ পুলিশ অফিসারদের সাথে সরাসরি কথা বলেন, তাদের সমস্যা তুলে ধরেন।"
তিনি বলেন, "এতে করে সাধারণ মানুষ থানা থেকে কেমন সেবা পাচ্ছেন, ওই এলাকায় কী ধরনের অপরাধ বেশি ঘটছে, কেন ঘটছে তা আমরা জানতে পারি। সাধারণ মানুষের পরামর্শ নিয়ে পুলিশ সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিচ্ছে।"
শনিবার (২৯ অক্টোবর) কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২ এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে এসে শেষ হয়। পরে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আইজিপি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের সকল জেলা, রেলওয়ে, হাইওয়ে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও মেট্রোপলিটন ইউনিটে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের চলমান কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৫৪ হাজার ৭১৮টি কমিটিতে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭০১ জন কমিউনিটি পুলিশ সদস্য কাজ করছেন।
আইজিপি আরও বলেন, অপরাধ দমনে সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশ এবং জনতা মিলেই সমাজে অপরাধ দমন করতে হবে, তাহলে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, "কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কাজ হলো সমাজে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগেই অপরাধীকে চিহ্নিত করা, অপরাধীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। আমরা এক্ষেত্রে শতভাগ সফল হয়েছি।"
তিনি বলেন, "কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের ফলে সমাজে বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং অনেক কমেছে। এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে আমাদের আরও কাজ করতে হবে।"
মন্ত্রী আরও বলেন, "জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে আমরা যখন কঠিন সমস্যার মুখে পড়েছিলাম, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বস্তরের জনগণকে ঘুরে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছিলেন। তখন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ যার যার জায়গা থেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। সে সময় আমরা অভূতপূর্ব সফলতা দেখেছিলাম। জনগণ যখন পাশে থাকে কোন কিছুই আর অসাধ্য থাকে না।"
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিদায়ী কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেছেন, "চাকরিটাকে এবাদত মনে করেছি। চাকরিজীবনে কোথাও থেকে কোন অন্যায় সুবিধা গ্রহণ করিনি।"
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে উদ্দেশ্য করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, "পুরো চাকরি জীবনে আপনার যে আশীর্বাদ মাথার উপরে ছিল, তা কখনওই ভুলবো না। একজন সরকারি কর্মকর্তাকে ভালোভাবে চলতে আপনি পেছন থেকে যে সমর্থন দিয়েছেন, সেজন্য আপনাকে আলদাভাবে স্যালুট ও শ্রদ্ধা।"