ফরিদপুর-২ উপ-নির্বাচনে কম ভোটের কারণ প্রতিদ্বন্দ্বীর অজনপ্রিয়তা: ইসি আলমগীর
গতকাল (৫ নভেম্বর) ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে মাত্র ২৬ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট পড়ার কারণ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকা বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, "ফরিদপুরের ক্ষেত্রে তো তেমন কোনো প্রার্থী বেশি ছিলেন না। মাত্র দুইজন ছিলেন। এক দলের প্রার্থী বেশি পরিচিত না। নির্বাচনে যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা সেটা ছিল না।"
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেন, "কত শতাংশ ভোট পড়লে নির্বাচন গ্রহণযোগ হবে সংবিধানে এ ধরণের কোনো শর্ত নেই। তাই ভোট যদি শান্তিপূর্ণ হয় এবং নিয়ম মতো হয়, কোনো অনিয়ম না হয়; সমস্ত নিয়মকানুন যদি ফলো করে, তাহলে অবশ্যই তো গ্রহণযোগ্য ভোট বলতে হবে।"
তিনি বলেন, যেহেতু সাধারণ নির্বাচনের আর অল্প সময় আছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই ভোটাররা মনে করেন যে এখানে তো সরকারের কোনো পরিবর্তন হবে না। আর যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনিও কাজ করার তেমন একটা সময় পাবেন না। তাই ভোটারদের আগ্রহ কম। প্রার্থীদেরও তেমন আগ্রহ নেই।'
ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে ৬৮ হাজার ৮১২ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহদাব বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মনোনীত বটগাছ প্রতীকের প্রার্থী জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া পান ১৪ হাজার ৮৭৮ ভোট।
এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৮ হাজার ৪৭২। এরমধ্যে ভোট দিয়েছেন ৮৩ হাজার ৬৯০জন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর আসনটির সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যু হওয়ায় ১৩ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে। এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর এ আসনে নির্বচানের তফসিল ঘোষণা আসে। নির্বাচিত শাহদাব আকবর চৌধুরী ওরফে লাবু চৌধুরী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে।