রাজশাহীতে ১ ডিসেম্বর থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
এবার রাজশাহীতে বিএনপির গণসমাবেশের আগে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন ও থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের কথা বলে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে পুরো বিভাগে এ ধর্মঘটের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় নাটোর শহরের একটি রেস্তোরাঁয় রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিকদের এক যৌথসভা থেকে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জু বিপ্লব সভায় বলেন, 'বিএনপির সমাবেশ ঠেকাতে নয়, পরিবহন মালিক শ্রমিকরা তাদের নায্য দাবির স্বপক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।'
এর আগেও বিএনপির একাধিক বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে 'মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ যান ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল বন্ধসহ' নানা দাবি আদায়ের কথা বলে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়। বাসের সঙ্গে কোথাও কোথাও নৌযান চলাচলও বন্ধ রাখেন মালিক-শ্রমিকরা। তবে বিএনপি বলছে, দলীয় গণসমাবেশ ঠেকাতে ক্ষমতাসীন দলের প্ররোচনায় এসব ধর্মঘট ডাকা হচ্ছে।
রাজশাহীর পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবিগুলো হল- হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে থ্রি হুইলার (নসিমন, করিমন, সিএনজি) পরিচালনা করা, জ্বালানি তেল ও যন্ত্রাংশের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হ্রাস, সকল প্রকার সরকারি পাওনাদির (ট্যাক্স, টোকেন, ফিটনেস) অস্বাভাবিক হার বৃদ্ধি হ্রাস, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত নানাবিধ জটিলতা নিরসন,পরিবহনের যাবতীয় কাগজপত্র সঠিক থাকার পরে পুলিশের নানাবিধ হয়রানি বন্ধ, উপজেলা পর্যায়ে বিআরটিসি বাস পরিচালনা করা, মহাসড়কে হাট-বাজার পরিচালনা বন্ধ, যাত্রী ওঠা নামার জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা ও ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন করা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জু বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, নাটোর জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি লক্ষণ পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক মুজিবর রহমানসহ আট জেলার পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা।