উত্তেজনায় ভণ্ডুল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন ছিল আজ বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর)। সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা ছিল, শেষ হওয়ার কথা ছিল দুপুর ১টায়।
কিন্তু নীল দলের বিদ্রোহী অংশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া ও ভোটগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করায় শেষ পর্যন্ত কোনো ভোট ছাড়াই নির্বাচন ভণ্ডুল হয়ে যায়।
জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশ সাইদুল আল আমিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মুর্শেদ রায়হানের অংশটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।অন্যদিকের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী জাহিদ হাসান নির্বাচন কমিশন গঠন ও দিন-তারিখ নিয়ে বিরোধিতা করে আসছিলেন।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, নির্বাচন বাতিলের পক্ষে থাকা বিদ্রোহী গ্রুপ কেন্দ্র দখল করে বসে আছে। ভোটগ্রহণের পক্ষে থাকা শিক্ষকরা কেন্দ্রের বাইরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। শিক্ষকদের দুই গ্রুপ ও বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বাকবিতণ্ডায় উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে।
শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও নীল দলের সদস্য প্রফেসর ড. আবু তাহের বলেন, 'নির্বাচন কমিশন গঠনতন্ত্র মোতাবেক তফসিল ঘোষণা করে। একটা পক্ষ তখন নির্বাচন করার ঘোষণা দেননি। আমরা ভোট দিতে এসে দেখি তারা কেন্দ্র দখল করে বসে আছেন। তারা নির্বাচন বানচাল করতে চান। তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।'
বিদ্রোহী গ্রুপের সদস্য শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদার জানান, 'নির্বাচন শিক্ষক লাউঞ্জে হচ্ছে না, এ কথা আমাদের আগে জানানো হয়নি।'
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. জি এম মনিরুজ্জামান বলেন, 'নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে শিক্ষক সমিতির বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ। ২২ তারিখ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। আগে নির্বাচন শিক্ষক লাউঞ্জে হতো। এবার সেখানে একইদিনে আরেকটি প্রোগ্রাম থাকায় রেজিস্ট্রার ও ট্রেজারার শিক্ষক লাউঞ্জে ভোটগ্রহণের অনুমতি দেননি। আমরা তিনটি স্থান থেকে বাছাই করে গতকাল রাতে এই স্থানটি বাছাই করি। এটা সব বিভাগের চেয়ারম্যানদের মেইল করে জানিয়ে দেওয়া হয়। সবকিছু নিয়মমাফিক হওয়ার পরও একটি অংশ নির্বাচনের বিরোধিতা করার কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।'