বাংলাদেশের সঙ্গে পরিবেশবান্ধব নৌপরিবহন সেক্টর গড়ে তুলতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশের সঙ্গে পরিবেশবান্ধব নৌপরিবহন সেক্টর গড়ে তুলতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেছে ব্রিটেন।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম, এভিয়েশন ও সিকিউরিটি বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারনেস ভেয়ার অফ নরবিটনের এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় ব্রিটিশ মন্ত্রী এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। দুই দেশের মধ্যে শিপিং সহযোগিতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের নৌপরিবহন সেক্টরে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা বৃদ্ধি, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও মংলাসহ দেশের বিভন্ন সমুদ্রবন্দরে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি সহযোগিতা প্রদান, বাংলাদেশি নাবিকদের সার্টিফিকেট অব কম্পিটেন্সি-এর যৌথ স্বীকৃতি ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বন্দরে বাংলাদেশি নাবিকদের অন এরাইভাল ভিসা প্রদানের জটিলতা দূর করার অনুরোধ জানান।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ব্রিটিশ টেকনিক্যাল কো অপারেশন এইড-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশে মেরিন একাডেমির যাত্রা শুরুর কথা উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
বৈঠকে ব্রিটিশ মন্ত্রী ব্যারনেস ভেয়ার বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব নৌপরিবহন সেক্টর গড়তে এবং কপ-২৬-এ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও উদ্ভাবনী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
এছাড়া, বৈঠকে উভয় মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় মেরিটাইম ও শিপিং সেক্টরের ডিকারবোনাইজেশনের লক্ষ্যে দুই দেশের মেরিটাইম একাডেমি ও ইনস্টিটিউটের মধ্যে প্রযুক্তি ও নীতিগত বিষয়ে গবেষণা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ব্রিটিশ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে শুক্রাবার অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সাইদা মুনা তাসনিম এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোঃ নিজামুল হক অংশগ্রহণ করেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের ১২৮তম কাউন্সিলে অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাজ্যে তিন দিনের সফরের সময় অনুষ্ঠিত এ বৈঠক ছিল ২০০৯ সালের পর দুই দেশের নৌপরিবহন মন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম বৈঠক।