৪৯% হাসপাতালে সিরিঞ্জের সূচ ধ্বংসকারী যন্ত্র ব্যবহার করা হয় না: টিআইবি
চিকিৎসা বর্জ্য নিয়ে করা এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, ৪৯ শতাংশ হাসপাতালে সিরিঞ্জের সূচ ধ্বংসকারী যন্ত্র ব্যবহার করা হয়না।
শুধু সিরিঞ্জই নয়, কাচের বোতল, সিরিঞ্জ, স্যালাইন ব্যাগ ও প্লাস্টিকের নল, ব্লেড, কাঁচি ধ্বংস না করে পুনঃব্যবহারযোগ্য বর্জ্য সংগ্রহকারী সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করা হয়। এর ফলে এইচআইভি এইডসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে।
চিকিৎসা–বর্জ্য নিয়ে এসব দুর্নীতি-অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে অনলাইনে এক অনুষ্ঠানে 'চিকিৎসা–বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক গবেষণার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
১৮৮টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ৩৮টি সিটি করপোরেশন- পৌরসভা ও ১২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে গবেষণাটি করেছে টিআইবি।
এ ছাড়া তারা চিকিৎসা–বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যুক্ত বিভিন্ন স্তরের ৯৩ জন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
২০২১ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এ গবেষণা চালানো হয়।
টিআইবি বলেছে, হাসপাতালের কর্মীদের একাংশ ও ঠিকাদারদের একটি চক্র অপরিশোধিত চিকিৎসা–বর্জ্য আবার বাজারে ফিরিয়ে আনছে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি। একটি সুপরিচিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কালো বাজারে প্লাস্টিক চিকিৎসা বর্জ্যের অবৈধ ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "চিকিৎসা–বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট আইনে দুর্বলতা আছে। চিকিৎসা–বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি হয়নি। এই কাজে সমন্বয়ের ঘাটতি আছে।"
টিআইবির গবেষণা বলছে, চিকিৎসা–বর্জ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন, পরিশোধন—সব ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতি রয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জনবলের সংকট রয়েছে। এমনকি যে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেই নিয়োগেও আর্থিক দুর্নীতি ছিল।
টিআইবি জানিয়েছে, এসব দুর্নীতিতে স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী যুক্ত।