দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন বিএফ.৭ শনাক্ত: আইইডিসিআর
দেশে করোনাভাইরাসের অত্যন্ত সংক্রামক ওমিক্রনের নতুন সাব-ভেরিয়েন্ট বা উপধরন বিএফ.৭ শনাক্ত হয়েছে। আজ রোববার (১ জানুয়ারি) ইন্সটিটিউট অফ এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর) এর পরিচালক ডাঃ তাহমিনা শিরিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি চীন থেকে বাংলাদেশে আসা চারজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত চীনা নাগরিকের একজনের জিনোম সিকোয়েন্স রিপোর্টে নতুন এই ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
সারাদেশে কোভিড আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য তাদের নমুনা পাঠাতে বলেছে আইইডিসিআর।
গত এক বছরে ঢাকা বিমানবন্দরে অ্যান্টিজেন টেস্টে চীনের এই চার নাগরিকই প্রথম কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। ২৩ ডিসেম্বর ফ্লাইট চায়না ইস্টার্ন, এমইউ২০৩৫-তে করে চীনের কুনমিং থেকে ঢাকায় পৌঁছান তারা। পরে তাদের কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট কোভিড পজিটিভ আসে।
যাত্রীরা অবশ্য চীন থেকে কোভিড আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়েই বাংলাদেশে এসেছেন।
বিএফ.৭ হল ওমিক্রনের বিএ.৫ ধরনের একটি উপধরন। সংক্ষিপ্ত ইনকিউবেশন পিরিয়ডের এই ধরনটি অত্যন্ত সংক্রামক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুনরায় সংক্রমণ ঘটানোর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই উপধরন টিকা নেওয়া ব্যক্তিদেরও সংক্রামিত করতে পারে।
চীনের উহানে প্রথম যে ধরন শনাক্ত হয়েছিল, তারচেয়ে অন্তত ৪.৪ গুণ বেশি নিরপেক্ষতা প্রতিরোধ ক্ষমতা (সংক্রমণের ক্ষমতা) রয়েছে নতুন এই উপধরনের। অর্থাৎ, ভ্যাকসিনেশন থেকে পাওয়া অ্যান্টিবডি এই ধরনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট কার্যকর নয়। সেল হোস্ট অ্যান্ড মাইক্রোব জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় এমনটিই বলা হয়েছে।
জ্বর, গলা ব্যাথা, সর্দি এবং কাশিসহ শ্বাসযন্ত্রের পীড়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে নতুন এই উপধরনে আক্রান্ত হলে। এর পাশাপাশি থাকতে পারে ডায়রিয়া, বমিসহ পেট সম্পর্কিত বিভিন্ন উপসর্গ।
নতুন এই ধরন গুরুতর কোনো শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি নাও করতে পারে, তবে এটি অত্যন্ত সংক্রামক হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।