ব্যক্তির নিজ পকেট থেকে চিকিৎসাব্যয় আরও বেড়েছে
দেশে চিকিৎসা নিতে গিয়ে রোগীর নিজ পকেট থেকে (আউট অভ পকেট) ব্যয় আরও বেড়েছে। বর্তমানে একজন রোগীকে চিকিৎসাসেবা নিতে নিজ পকেট থেকে ব্যয় করতে হচ্ছে ৬৯ শতাংশ অর্থ, আগে নিজ পকেট থেকে ব্যয় ছিল ৬৭ শতাংশ। যা বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় অনেক বেশি।
আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস ১৯৯৭-২০২০-এর একটি অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
রোগীকে ৬৫ শতাংশ ব্যয় করতে হয় শুধু ওষুধ কিনতেই।
অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস সেলের ফোকাল পারসন ডা. সুব্রত পাল।
ডা. সুব্রত পাল জানান, ২০২০ সালে ব্যক্তি পর্যায়ে খরচের মাধ্যমে বাংলাদেশে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ (৬৮.৫ শতাংশ) ব্যয় সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কর্তৃক ব্যয়ের পরিমাণ ৫ শতাংশ।
ইতিপূর্বে প্রকাশিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের তথ্য অনুসারে, ২০১৫ সালে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের মধ্যে সরকারি খাতের ব্যয় ছিল ২২.৮ শতাংশ; যা ২০২০ সালে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ২৩.১ শতাংশে দাঁড়ায়।
স্বাস্থ্যসেবা দিতে ২০২০ সালের সরকারের গড় মাথাপিছু ব্যয় ছিল ৪ হাজার ৫৭৮ টাকা বা ৫৪ ডলার।
বর্তমানে সরকার স্বাস্থ্যসেবায় যে অর্থ ব্যয় করে, তার সবচেয়ে বেশি হয় ঢাকা বিভাগে। আর সবচেয়ে কম ময়মনসিংহ বিভাগে। মাথাপিছু হিসেবে ঢাকা বিভাগে জনপ্রতি ব্যয়ের পরিমাণ ৭ হাজার ৩৯ টাকা এবং ময়মনসিংহে ২ হাজার ৬০ টাকা।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ব্যক্তির নিজ পকেট থেকে ব্যয় কমাতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের খরচ কমাতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ওভার-দ্য-কাউন্টার অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে পারলে ওষুধের খরচ কমবে।
তিনি আরও বলেন, 'অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত টেস্ট দেওয়া বন্ধ করতে হবে। স্বাস্থ্য বিমা জোরদার করতে হবে। স্বাস্থ্য বিমার একটি পাইলট প্রকল্প আছে, সেটি সারা দেশে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।'